ইউরোপের সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ ডব্লিউএইচও

ইউরোপে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াটা ‘খুবই উদ্বেগের বিষয়’, তবে এপ্রিলের চূড়ান্ত পরিস্থিতির তুলনায় সংক্রমণ কয়েকগুণ বেশি হলেও মৃত্যু কম। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক অফিস নতুন করে প্রকোপ নিয়ে সতর্ক করা ছাড়াও তা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপে ফের কড়াকড়ি আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপে সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গে দৈনিক হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তবে পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে ফের কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে।’

ডব্লিউএইচও’র ওই সংবাদ সম্মেলনে হ্যান্স ক্লুগ আরও বলেন, ‘যদিও এপ্রিলে সর্বোচ্চ সংক্রমণের চেয়ে এখন দৈনিক সংক্রমণ দুই থেকে তিনগুণ বেশি কিন্তু দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা অবশ্য পাঁচ ভাগের এক ভাগ। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি।’

শীতের আগমনে করোনাভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু দ্রুতই বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউরোপ যদি বিধিনিষেধ শিথিলের এই নীতিতে বেশিদিন চলে তাহলে ২০২১ সালের জানুয়ারি নাগাদ দৈনিক মৃত্যু গত এপ্রিলের তুলনায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।’

ক্লুগের মন্তব্য, ‘কঠোর বিধিনিষেধের সঙ্গে মাস্ক পরা কিংবা ঘরে-বাইরে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণের মতো মতো সহজ পদক্ষেপ নিলে ফেব্রয়ারির মধ্যেই ইউরোপে ২ লাখ ৮১ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই এখনই কড়াকড়ি আরোপের উপযুক্ত সময়। তবে আচমকা নয় এই কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে ধাপে ধাপে।’

তিনি বলেন, ‘ছয় মাসে যেটাকে লকডাউন বলা হচ্ছিল অর্থাৎ সমাজের কিংবা অর্থনীতির সবক্ষেত্র অচল করে দেয়া, এখন সে রকম কোনো বিধিনিষেধের প্রয়োজন নেই। খুবই ধ্বংসাত্মক এসব পদক্ষেপের চেয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত সরকারগুলোর। কারণ এসবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্ষতি হয়েছিল খুবই মারাত্মক।’