ইউক্রেন সংকট: যুদ্ধবিমান পাঠাতে ভিন্ন কৌশল খুঁজছে আমেরিকা!

রাশিয়ার সামরিক অভিযান মোকাবিলায় বারবার যুদ্ধবিমান চেয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত তাতে রাজি হয়নি।

তবে এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মার্কিন যুদ্ধবিমান পাঠাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে চাপ দিচ্ছে দেশটির আইনপ্রণেতারা।

তাদের বক্তব্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ইউরোপীয় মিত্রদের বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। এর মধ্যে পোল্যান্ড অন্যতম। ইউক্রেনীয় পাইলটরা জানেন কীভাবে এসব রুশ যুদ্ধবিমান উড়াতে হয়। পোল্যান্ড তাদের যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে হস্তান্তর করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডকে দিতে পারে।

যদিও পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত কিংবা মন্তব্য করা হয়নি। তবে মার্কিন সরকার বলছে, এটি “পোল্যান্ডের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত”।

হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, এটি একটি লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ। আর এর মানে হল এই ধরনের হস্তান্তর ততটা সহজ হবে না যে, ‘চাইলাম আর যুদ্ধবিমানগুলোকে ঘুরিয়ে ওদিকে নিয়ে গেলাম’।

এদিকে, মার্কিন সিনেটের শীর্ষ আইন প্রণেতা বব মেনেনডেজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত ওয়াশিংটন থেকে আপগ্রেড করা বিমান দিয়ে পোলিশ নৌবহরকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া।

তিনি বলেন, “ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য আমাদের যেসব মিত্র বিমান সরবরাহ করে তাদের পাশে দাঁড়াবে, ওই সব মিত্রের ক্ষতিপূরণে আমি সিনেটের উদ্যোগকে সমর্থন করব।”

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার অভিযানের ত্রয়োদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।

রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন