ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই মিশরে রাশিয়ার পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই মিশরে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু করলো রাশিয়া। পাঁচ বছর আগে এই চুক্তি হয়েছিল।

২৫ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করে মিশরে এই প্রকল্প গড়ে তুলছে রাশিয়া। এই প্রথম মিশরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পটি তৈরির কথা জানিয়ে রাশিয়া মিশরকে ‘পরমাণু ক্লাবে’ স্বাগত জানিয়েছে।

পাঁচ বছর আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ এল-সিসির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি চুক্তি সই হয়েছিল। সেখানে রাশিয়া জানিয়েছিল, দেশের জাতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কর্পোরেশন রোসাটম মিশরে নতুন এই প্রকল্প তৈরি করবে। রাশিয়া এর জন্য মিশরকে ঋণ দেবে।

কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে প্রকল্পের কাজ এগোয়নি। গত বুধবার রোসাটম এবং কায়রো একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্রুত প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হচ্ছে। বুধবার এল দাবা প্রকল্পে সিমেন্ট ফেলে কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এবার পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে রোসাটম।

২০১৭ সালে যখন এই চুক্তি হয়েছিল, তখন দুই রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছিলেন, ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারপর পাঁচ বছর কাজ হয়নি। ফলে প্রকল্প শেষ হতে আরো বেশ কিছু সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯৮০-র দশকে মিশরে প্রথম পরমাণু প্রকল্প তৈরি হবে বলে স্থির করেছিল দেশের সরকার। পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ খানিক এগিয়েছিল। কিন্তু এরপর চেরনোবিলের ঘটনা ঘটায় সেই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকদশক পর মিশরের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

তবে কূটনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, যে সময়ে রাশিয়া মিশরে একাজ করছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া আফ্রিকা এবং এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। মিশরের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করে রাশিয়া সেই সম্পর্ককে আরো স্থায়ী করতে চাইছে।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন