ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া প্রথমার্ধ শেষ হলো গোলশূন্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:


ইউরো শুরুর পর এই প্রথম যেন একটু উত্তেজনার আঁচ। শিরোপার দুই অন্যতম ফেবারিট মুখোমুখি। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া লন্ডনে খেলতে নেমেছে সব সময়ের অন্যতম ফেবারিট স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু প্রধমার্ধে দু’দলের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও কেউ কারো জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। গোলশূন্যভাবে শেষ হলো প্রথমার্ধ।
বিশ্বকাপ ও ইউরোর মতো বড় টুর্নামেন্ট এর আগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়া। ২০০৪ ইউরো কাপে প্রথমবারের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। ১৪ বছর পর দ্বিতীয় ও শেষ সাক্ষাতে ২০১৮ বিশ্বকাপের ক্রোয়েশিয়া ২-১ গোলে হারিয়েছেল ইংল্যান্ডকে।
যদিও আজ লন্ডনে সে সব স্মৃতির কিছুই আর সামনে নেই। নতুন ম্যাচ, নতুন লড়াই। জয় তুলে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য দুই দলেরই। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমার্ধের খেলা শেষে কোনো দলই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি।

৬ মিনিটেই মাথায় ফোডেনের শট পোস্টে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। অল্পের জন্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় ইংল্যান্ডের। রক্ষা পায় ক্রোয়েশিয়া। ৯ মিনিটের মাথায় ফিলিপসের শট প্রতিহত করেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। ১৬ মিনিটের মাথায় ফিলিপসকে ফাউল করেন কোভাচিচ। ফ্রি-কিক নেন ট্রিপিয়ার। হ্যারি কেন অফসাইড করে বসেন।
ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে একতরফা দাপট ইংল্যান্ডের। ক্রোয়েশিয়া সে অর্থে আক্রমণই শানাতে পারেনি ইংল্যান্ডের বক্সে। ২৬ মিনিটের মাথায় স্টার্লিংয়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৭ মিনিটে প্রথমবার ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে যথাযথ আক্রমণ শানায় ক্রোয়েশিয়া। পেরিসিচের ডান পায়ের শট যদিও ইংল্যান্ড গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।
৩৯ মিনিটে অফসাইডের আওতায় পড়েন ফডেন। ঠিক পরক্ষণেই রেবিচও অফসাইডে ধরা পড়েন। ৪২ মিনিটে হ্যান্ড বল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন ক্রোয়েশিয়ার দুজে। এরপর গোলশূন্যভাবেই বিরতিতে যায় দুই দলের খেলোয়াড়রা।