সোমবার , ১৯ আগস্ট ২০২৪ | ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আ. লীগের জরিপ: জনপ্রতিনিধি অপসারণ সমর্থন করেন ৯০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী

Paris
আগস্ট ১৯, ২০২৪ ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি আদেশে অপসারণের সিদ্ধান্তকে জনগণ সমর্থন করছে কিনা- তা জানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘জনমত জরিপ’চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এতে মন্তব্য করা প্রায় ৯০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, তারা অপসারণকে সমর্থন করেন। কারণ জনপ্রতিনিধিরা ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তাঁরা জালিয়াতির নির্বাচনে পদে বসে ছিলেন।

গত ১৫ বছর দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগের দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘জনমত জরিপ’শিরোনামে ‘দেশের সব উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ কি আপনি সমর্থন করেন?’ প্রশ্ন রাখা হয়।

রাত সাড়ে দশটায় দেখা যায়, ২৬ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ব্যবহারকারী ‘হা হা’ দিয়েছেন।

লাইক করেছেন ৯ হাজার ৭০০ ব্যবহারকারী। দুঃখ প্রকাশের ইমোজি দিয়েছেন ২ হাজার ৬০০ ব্যবহারকারী। ভালোবাসার ইমোজি দিয়েছেন ২৬৭ জন ব্যবহারকারী। আর রাগ দেখিয়েছেন ৯৬ জন।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার সোমবার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবর্তন করে। এর পরপরই ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে সরকার।

একই ধারায় ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্য, ৪৯৩ উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ৩৩৪ পৌর মেয়রকে অপসারণ করা হয়। অপসারিত অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিংবা সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর, জনপ্রতিনিধিদের অনেকে পালিয়েছেন।

রাত সাড়ে ২১ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী আওয়ামী লীগের জনমত জরিপ সংক্রান্ত পোস্টে মন্তব্য করেন। প্রথম ১০০ কমেন্টে দেখা গেছে, ৯ জন জনপ্রতিনিধিদের অপসারণকে সমর্থন করেননি।

মোহাম্মদ ইলিয়াস নামের অ্যাকাউন্ট থেকে অপসারণকে সমর্থন করে লেখা হয়েছে, ‘জ্বি অবশ্যই করি স্যার। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, আমরা সেবা পাচ্ছি না’। মনিরুল ইসলাম নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘১০০ ভাগ সমর্থন করি। এই গুলো (অপসারিত জনপ্রতিনিধি) জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় নাই’। রফিকুল ইসলাম নামের আরেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘ওরা জনগণের প্রতিনিধি ছিল না। ওরা ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি। তাই ওদের অপসারণের পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনতে হবে’। আনোয়ারুল ইসলাম আনার নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘অবশ্যই শতভাগ সমর্থন করি। জনগণ তো তাদের নির্বাচিতই করেনি, তো জনপ্রতিনিধি হলো কেমনে?’ হোসাইন আকবর নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘নির্বাচিত কেমনে? গত ১৭ বছর দেশে কেউ ভোট দিতে পারছে?’

প্রীতম নন্দী নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, অপসারণকে সমর্থন করেন না। এই ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘না। কারণ সবাই খারাপ না’। জসিম উদ্দিন এবং ইমরান উল্লাহ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, তারা অপসারণকে সমর্থন করেন না।

এ জরিপের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - রাজনীতি