বুধবার , ১৩ মে ২০২০ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আহতকে অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে আবার ছুরি মেরে হত্যা

Paris
মে ১৩, ২০২০ ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তির অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে আবার ছুরিকাঘাতে তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন দুজন। হামলাকারীরা ভেঙে দিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সটি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাধনপুর এলাকার প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জহিরুল ইসলাম (৩৭) দক্ষিণ সাধনপুরের মৃত আলী মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। আহতরা হলেন রবিউল ইসলাম হিরন (২২) ও জামাল উদ্দিন (৫৫)।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে জমি নিয়ে বিরোধে দক্ষিণ সাধনপুরের সুলতান আহমদের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম (মাহমুদ) প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন। এ ঘটনায় মাহমুদ রামদাশ মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মামুন হাসানের কাছে এজাহার দেন। কিন্তু মামুন এজাহারটি নথিভুক্ত না করে মাহমুদকে ‘আজ নয় কাল’ বলে ঘোরাতে থাকেন। এদিকে এজাহারের আসামি স্থানীয় নেজাম উদ্দিন, মনির আহমদ, মো. জহির, সিরাজুল ইসলাম ও আরো কয়েকজন মিলে গত সোমবার রাতে মাহমুদের ওপর আবার হামলা করে তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙে দেন। এর প্রতিবাদ করেন মাহমুদের মামা জহিরুল ইসলাম। এর জের ধরে অভিযুক্ত নেজাম, মনির, জহির, সিরাজুল ও আরো কয়েকজন গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছুরিকাঘাতে জহিরুলের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলেন। জহিরুলকে প্রতিবেশীরা দ্রুত গুনাগরির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। অ্যাম্বুল্যান্সে করে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার সময় দক্ষিণ সাধনপুরে প্রধান সড়কে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের গতিরোধ করে। এরপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জহিরুলকে হত্যা করে তারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ পরিদর্শক মামুন হাসানের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এলাকার বহু অপরাধে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকলেও তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে বদলি করা হচ্ছে না।

মামুন হাসান বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পূর্ববিরোধের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়।’

বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা করা হবে। খুনিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দোষী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

 

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়