আলোচনায় মিরাজের করা সেই রান আউট; উল্লসিত ডমিঙ্গো

ডারবানের কিংসমিডের সবুজ ঘাসের উইকেটে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পাবে। বাড়তি বাউন্স থাকায় টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামতে সময়ক্ষেপণ করেননি। তবে উইকেটের সুবিধাটুকু আদায় করে নিতে পারেনি টাইগার পেসাররা। ডিন এলগারের দক্ষিণ আফ্রিকা দিনের প্রথম সেশনটা সাবলিলভাবে খেলে। অবশ্য দ্বিতীয় সেশনটা নিজেদের করে নেয় টাইগাররা স্বাগতিকদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে। আলোর স্বল্পতায় প্রথম দিনের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। দিন শেষে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৩ রান। তবে এসবের মাঝেই আলো ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

তাসকিনের বল ড্রাইভ করে কভারে পাঠিয়েছিলেন তেম্বা বাভুমা। সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য ডাক দিলেন সতীর্থ পিটারসেনকে। তিনিও দিলেন সাড়া। ওদিকে পয়েন্ট থেকে দৌড়ে ডাইভ দিয়ে একহাতে বল নিলেন মিরাজ। চোখের পলকে উঠে, বসে থাকা অবস্থায় থ্রো করেন স্ট্রাইক প্রান্তে। শরীরে ভারসাম্য নেই। জোর পাওয়ার কথা সামন্যই। আবার কোনাকুনি থেকে মাত্র একটি স্টাম্প দেখে থ্রো করতে হয়। মিরাজের নিশানা ছিল পিকচার পারফেক্ট। বল যখন স্টাম্পে আঘাত করে তখনও ক্রিজের বাইরে পিটারসেন।

লেগ আম্পায়ার ইরাসমাস তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিলেও বাংলাদেশ শিবিরের উল্লাস বলে দিচ্ছিল উইকেটটা পেয়ে গেছে অতিথিরা। বড় স্ক্রিনে আউট দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ দ্বিগুনে পরিণত হয়। ড্রেসিংরুমেও ছিল সেই রান আউটের উল্লাস।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ‘আমার দেখা সেরা রান আউটের একটি। সে (মিরাজ) আমাদের জন্য ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার। দারুণ ক্যাচ নিতে পারে। তার দুর্দান্ত শক্তি এবং কর্মতৎপরতা দারুণ। এই মুহূর্তে খুব আত্মবিশ্বাসী একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এটি একটি বিশেষ রান আউট ছিল। এরকম কিছু দেখতে পারা সত্যিই আনন্দের।’

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন