সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সিরিয়ার আলেপ্পোয় সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে নতুন চুক্তি হয়েছে।
পূর্ব আলেপ্পোয় আটকে পড়া মানুষদের শনিবার থেকে আবার সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
সরকার ও বিদ্রোহীগোষ্ঠী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
পূর্ব আলেপ্পো ছাড়াও বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত দুটি শহর এবং সরকারনিয়ন্ত্রিত অন্য দুটি শহর থেকে যারা সরে যেতে চায়, তাদেরকেও সরিয়ে নিতে চুক্তি হয়েছে।
আলেপ্পো থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার হঠাৎ করে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার তা আবার শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে আলেপ্পোর বাইরে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা খান আল-আসাল ও খান তৌমান শহরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অবরুদ্ধ মানুষদের সরিয়ে নেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
সরকার দাবি করেছে, লোকজন সরিয়ে নেওয়ার সময় বিদ্রোহীরা গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি, সরকারি সেনারা হামলা করেছে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের তৈরি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোট হবে। এ প্রস্তাবে আলেপ্পোয় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মানবিক সহায়তা ও হাসপাতালবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিতকরণের কথা বলা হয়েছে।
সরকারি বাহিনীর দখলে আসা পূর্ব আলেপ্পো ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে হাজার হাজার মানুষ। সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এসব মানুষকে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তার মিত্র রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ায় বর্বর হত্যাকা- চালাচ্ছে।
নতুন চুক্তিতে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে
১। পূর্ব আলেপ্পো থেকে বিদ্রোহীযোদ্ধা ও বেসামরিক লোকজন সরিয়ে নেওয়া অব্যাহত রাখা।
২। ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ফোয়াহ ও কেফরায়া শহর থেকে শিয়াদের সরিয়ে নেওয়া।
৩। লেবানন সীমান্তে সরকারনিয়ন্ত্রিত মাদায়া ও জাবাদানি শহর থেকে আহত বিদ্রোহী সেনাদের সরিয়ে নেওয়া।
সূত্র :রাইজিংবিডি