আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখলের অভিযোগ

বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে। উপজেলার হাসনিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক মাদারিগঞ্জ (হাসনিপুর) বাজারে ৩ শতক জায়গা ভোগ দখল করে আসছিল। তাঁর মৃত্যুর পর সেই জায়গাটি সন্তানেরা দেখা শোনা করে আসছে। ওই স্থানে তাঁর সন্তানরা মিলে পিতার নামে মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক স্মৃতি গ্রন্থাগার নির্মান করবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী মমতাজ বেগম শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় তিনিও এসব দেখা শোনার সময় পান না। সেই সাথে তার সন্তানরা কর্ম ক্ষেত্রে বাহিরে থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন প্রকার ধারালো অস্ত্র সহ সামসুল ইসলাম ও তার সহযোগী একই এলাকার বাবুল, সফিকুল, রাসেল, জহুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্যাডার সদস্য নিয়ে জায়গাটি দখলের চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে দ্রুত বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলামসহ তার ক্যাডার বাহিনী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিকের বড় ছেলে মাসুদ রানা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ছোট ছেলে সোহেল রানা ঢাকায় একটি চাকুরীতে কর্মরত। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক এর সন্তানরা জানান তাঁর পিতার নামে এই স্মৃতি গ্রন্থাগার নির্মানের জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক অধিদপ্তর ২ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেছে।

সেই অর্থ দিয়ে জায়গাটিতে এলাকার গণমানুষের জন্য নির্মান করা হবে স্মৃতি গ্রন্থাগারটি। এর ফলে বিনা পয়সায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বই পড়ার সুযোগ পাবেন। অথচ সামসুল ইসলাম জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সেই জায়গাটি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু এটাই নয় এমন অনেক অভিযোগ আছে সামসুল হকের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

 

স/আ