আলগা দরদে বাড়বে বিচ্ছিন্নতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ার পর স্বাধীনতা দাবি জোরালো হচ্ছে স্কটল্যান্ডে। স্বাধীনতাকামীরা বলছেন, একদিন স্বাধীন হয়ে স্কটল্যান্ড আবার ইইউর বুকে ফিরবে। এ বিষয়ে বিবিসি জিজ্ঞাসা করলে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সাবেক প্রধান ডোনাল্ড ট্রাস্ক বলেছেন, ভবিষ্যতের স্বাধীন স্কটল্যান্ডের জন্য তাদের দরদ আছে। এরই প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য বলছে, এ ধরনের আলগা দরদ বিচ্ছিন্নতাবাদকে উসকে দেবে। বিবিসি।

২০১৬ সালের জুনে এক গণভোটে ৫১.৯ শতাংশ ব্রিটিশরা ইইউ থেকে বিচ্ছেদ নেওয়ার রায় দেয়। এর পরই ব্রেক্সিটবিরোধী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। পরে দায়িত্ব নেন তেরেসা মে। তিন বছর ধরে তিনি চেষ্টা করেছেন; কিন্তু এমপিদের বাধায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বারবার ব্যর্থ হয়ে মেও পদত্যাগে বাধ্য হন। এর পর কনজারভেটির পার্টির প্রধান এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বরিস জনসন।

কাক্সিক্ষত বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য প্রথমে নির্ধারিত দিন ছিল ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ। মের সরকার সেই সময় এটি বাড়িয়ে নিতে পেরেছিল। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের নির্ধারিত দিন পড়ে গত ৩১ অক্টোবর। কিন্তু জনসনের বিনাচুক্তির ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বারবার সংসদে ব্যর্থ হওয়ায় তার সরকার ইইউর কাছে সময় বাড়িয়ে অনুরোধ জানায়। পরে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ হয় ৩১ জানুয়ারি। অবশেষে তা কার্যকর হয়েছে।

এর পরই স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেছেন, তারা যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হয়ে ইইউর পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে কি স্কটল্যান্ড বিশেষ সুবিধা করে নিতে পারবে? প্রশ্ন করলে টাস্ক বলেন, অতটা সহজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের আবেদন গৃহীত হয়ে যাবে তা নয়।

টাস্ক বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের ভেতরকার যে কোনো বিতর্ককে শ্রদ্ধা করেন। তিনি যে এর মধ্যে নাক গলাতে চান না, সেটিও স্পষ্ট করেছেন। কিন্তু যখন স্কটল্যান্ডকে সমর্থনের ব্যাপারে বারবার জানতে চাওয়া হয়, তখন টাস্ক বলেন, ‘যদি বলেন আমাদের মনোভাব কী, তাহলে আপনারা আসলে সবসময় আমাদের পক্ষ থেকে সমর্থনই দেখতে পাবেন।’

এর প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ধরনের মন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রবণতাকেই বরং উসকে দেবে। তিনি বলেন, টাস্কের এ ধরনের কথাবার্তা ‘অ-ইউরোপীয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মনে হচ্ছে।