আরিফুল হকের জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেটের বরখাস্ত হওয়া সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল দেন। ১০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আরিফুল হকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মইনুল হোসেন ও আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। একই ঘটনায় আরও নিহত হন স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী। আহত হন ৭০ জন।

এ ঘটনার পরদিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক) ও সাংসদ আবদুল মজিদ খান হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। যেখানে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম আসে।

এই মামলায় ওই বছরেরই ৩০ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে আরিফুল হক আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। মায়ের অসুস্থতার দিক বিবেচনায় চলতি বছরের ২২ মার্চ হাইকোর্ট ১৫ দিনের জন্য তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

এর ধারাবাহিকতায় ১১ এপ্রিল সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আরিফুল হক আত্মসমর্পণ করে তাঁর জামিন চান। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। যার শুনানি নিয়ে আদালত আজ জামিন-বিষয়ক রুল দেন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ