আরও রুশ সেনা মোতায়েনের ছবি মিলল স্যাটেলাইটে

কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা নিরসনে জার্মানিতে হওয়া আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে জানানো হয়েছে বিষয়টি।

যে কোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের অবিলম্বে দেশটি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের কাছে বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের তথ্য ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাক্সার টেকনোলজিসের প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ক্রিমিয়া, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও বেলারুশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন করছে।

মাক্সার বলেছে, ক্রিমিয়ার সিমফারোপোল শহরের উত্তরে অকতায়েবরোস্কয়ে বিমানঘাঁটিতে বিপুলসংখ্যক নতুন সেনা ও সরঞ্জাম মোতায়েন হতে দেখা গেছে। সেখানে ৫০০ সেনা তাঁবুসহ শত শত গাড়িও উপস্থিতিও দেখা গেছে।

স্যাটেলাইট ছবিতে ক্রিমিয়ার নোভুজেরনোয়ের কাছে নতুন সেনা ও সরঞ্জাম পৌঁছতে দেখা গেছে। ক্রিমিয়ার উত্তর–পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা স্লাভনে শহরের কাছেও নতুন সেনা মোতায়েনের তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাক্সার বলেছে, পশ্চিম রাশিয়ায় কুর্সক প্রশিক্ষণ এলাকায় সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক সেনা পৌঁছেছে। ওই এলাকাটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে।

তবে এখন পর্যন্ত কতসংখ্যক সেনা মোতায়েন হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি রাশিয়া। তারা বলেছে, নিজ ভূখণ্ডে যেখানে ঠিক মনে হবে সেখানেই সেনা মোতায়েনের অধিকার রাশিয়ার আছে।

এদিকে এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এ ব্যপারে তিনি বলেন, যেকোনো সময় সতর্কতা ছাড়াই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। সেই সময় ইউক্রেন ত্যাগে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা সহ কনস্যুলার পরিষেবা প্রদান করা মার্কিন দূতাবাসের জন্য কঠিন হতে পারে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, রাশিয়া সীমান্তে আরও সৈন্য জড়ো করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শীতকালীন অলিম্পিক চলাকালীন সময়েই যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে কোয়ার্ডের বৈঠক শেষে ব্লিংকেন বলেন, আমরা এমন পর্যায়ে আছি যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। আরও পরিষ্কার করে বলা যায় অলিম্পিক চলাকালীন সময়েই ইউক্রেনে হামলা হতে পারে।

শোনা যাচ্ছিল চীনকে খুশি রাখতে অলিম্পিক চলাকালীন সময়ে যুদ্ধে জড়াবেন না পুতিন। কারণ এতে করে অলিম্পিকের ওপর থেকে মানুষের নজর সরে যাবে।

ব্লিনকেন আরও বলেন, খুব সহজ। আমরা রাশিয়ার হামলা করার প্রস্তুতি অব্যাহতভাবে দেখে যাচ্ছি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর