‘আম্মা’র পর ‘চিনাম্মা’র যুগে তামিলনাড়ু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যবাসীর প্রিয় ‘আম্মা’ জয়রাম জয়ললিতার মৃত্যুর পর ‘চিনাম্মা’ (খালা) শশীকলা নটরাজনের হাতেই যাচ্ছে  শাসনের ভার। এমন সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করেছে তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকে ।

 

দুই সপ্তাহ আগে জয়রাম জয়ললিতার মৃত্যুর পর দলের বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, দলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন শশীকলা। অনুমিত সেই খবরটিকে সত্যি প্রমাণ করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এআইএডিএমকে এ-সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়ে।

 

দলটির মুখপাত্র ও তামিলনাড়ুর স্পিকার সি পোন্নাইয়ান বলেন, ‘পুরো দলের চাওয়া ছিল এটিই যে, আম্মার পর চিনাম্মা আসুন। আম্মার মতো করে ক্ষমতার দায়িত্বভার সামলানোর ক্ষমতা আছে একমাত্র তাঁরই।’

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ৫৪ বছর বয়সী শশীকলা নটরাজন এর আগে তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকের কোনো পদে ছিলেন না। দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য নিয়মে সংশোধন আনতে হবে।

 

গত ৫ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুবরণের আগপর্যন্ত তামিলনাড়ুর দুই লাখ সন্তানের মা বলে পরিচিত জয়ললিতার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। তিনি ছিলেন অবিবাহিত।

 

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাঁর প্রতি তামিলনাড়ুবাসীর নিষ্ঠা ছিল ‘ধর্মবিশ্বাসের সমপর্যায়ের’। মৃত্যুর আগপর্যন্ত চেন্নাইয়ে জয়ললিতার বিশাল বাংলো ‘পোয়েস গার্ডেনে’ তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ‘চিনাম্মা’ শশীকলা।

 

এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার দলে অনেক চাটুকার ছিলেন, যাদের কখনো নিরুৎসাহিত করেননি আম্মা। এমনটি জয়ললিতা কোনো জনসমাবেশে গেলে মন্ত্রীসহ দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর দলে আম্মার অনুগত ও পান্নেরসেলভাম তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন।

 

এই পান্নেরসেলভামও আম্মাকে প্রচণ্ড সম্মান করতেন। এমনকি সব সময় নিজের শার্টের পকেটে আম্মার একটি ছবি রাখতেন পান্নেরসেলভাম।

 

এর আগে ভারতের লোকসভার ডেপুটি স্পিকার থামবিদুরাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আম্মার পর সেই জায়গা নিতে পারেন একমাত্র চিনাম্মা।

 

থামবিদুরাই আরো বলেন, জয়ললিতার পর দলে শশীকলার নামই উঠে আসছে ওই জায়গায়। তাই তাঁকে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

থামবিদুরাইয়ের মতে, দল চায় নেতৃত্বে আসুন শশীকলা। এতে সম্মতি রয়েছে দলের সদস্য থেকে শুরু করে বিধায়ক, সংসদদেরও। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় আর কারো নামই ভাবছেন না তাঁরা। তিনি আরো বলেন, এআইএডিএমকে মানুষের পার্টি। আর শশীকলা মানুষের নাড়ি খুব ভালোই বোঝেন।

সূত্র: এনটিভি