আমের নগরীতে পরিণত রাজশাহী: ইফতারীতে দিচ্ছে বাড়তি স্বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী নগরী এখন আমের ভরপুর। যেন আমের নগরীতে পরিণত হয়েছে। সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যে খানে তাকানো যায়, সেখানেই যেন আমের মেলা বসেছে। রমজানে সারাদিন পরে সুস্বাদু আম না হলে চলে না যেন প্রতিটি পরিবারের। আম ইফতারীতে আনছে বাড়তি স্বাদ। নগরীর অলিগলি বিক্রি হচ্ছে আম।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে আমের বাজার। নগরীর সাহেব বাজার, শালবাগান, রেলগেট, বিনোদপুর, কাজলা, লক্ষীপুর ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্রেতা আর বিক্রেতার দর কশাকশির চিত্র।
তবে দাম যাই হোক সারাদিনের রোজার পর পরিবারের জন্য আম কিনতেই হবে হয় অল্প না হয় বেশি। তাই বাজারের তালিকাতে আমের নামটাই প্রথমে।

নগরীর শালবাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা ব্যাস্ত আম সাজাতে দম ফেলার কোন সময় নেই কারো।
সামনেই টুকরিতে সাজানো রয়েছে হরেক রকমের আম ক্রেতারা বেছে বেছে নিচ্ছেন তাদের মত করে। এবার রমজানের পর থেকেই বেড়েছে আমের চাহিদা। দামও বেড়েছে রমজানের পর থেকেই। গোপালভোগ রমজানের আগে ছিলো ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা বর্তমানের রমজানের পর থেকেই সেই আমের দাম দাঁড়িয়েছে, ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা।
রাজশাহীতে সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়ার বানেশ্বরে। আর সেখান থেকেই বেশির ভাগ আম আসে নগরীতে ।

নগরীর সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা গেল, জিরো পয়েন্ট থেকে মণিচত্বর পর্যন্ত আমের বিকিকিনি চলছে। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, এবার কাল বৈশাখী ঝড়ে আমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তার পরও কৃষকদের গাছে মোটামুটি ভাবে আম টিকে রয়েছিল। আর সেই আম এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজরের আম বিক্রেতা মিন্টু সিল্কসিটিনিউজকে জানান, গোপাল ভোগ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু রোজার আগেই এই আম বাজারে ছিলো ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা।

বাজারে আম কিনতে আসা নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আলি আকবর বলছিলেন, এবার আমের দাম একটু বেশি। কিন্তু তারপরেও ইফতারীতে আমের যেন জুড়ি নেই। তাই বাজারে এলেই আমের তালিকা থাকছেই।

আরেক ক্রেতা মুনসুর আলী বলছিলেন, ইফতারীতে আম না থাকলে কি যেন নেই মনে হচ্ছে। আম বাড়তি স্বাদ নিয়ে আসছে ইফতারীতে।

নগরীর অলিগলিতে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে আম। ক্রেতারা যেন ঘরে বসেই আম কিনতে পারেন, এর জন্য ভ্যানে করে বিক্রেতারা আম নিয়ে ছুটছেন। বিক্রিও হচ্ছে বেশ জানালেন বিক্রেতা হুসেইন আলী।

স/আর