আমি কি মারা যাব মা? করোনা আক্রান্ত ৫ বছরের শিশুর প্রশ্ন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৯০৬ জনের। সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার মানুষ। নবজাতক থেকে বৃদ্ধ রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। এবার যুক্তরাজ্যের ওরচেস্টারশায়ারের ৫ বছরের এক শিশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন তার মা লরেন ফুলব্রুক।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর খবরে বলা হয়, ৫ বছরের আলফির প্রথমে হালকা জ্বর আসে, সেইসঙ্গে বমি। এরপর তার হ্যালুসিনেশন শুরু হয়। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

করোনা আক্রান্ত ছেলের অভিজ্ঞতা আর সবাইকে সচেতন করতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন লরেন ফুলব্রুক। সেই স্ট্যাটাস ৫২ হাজারের বেশি বার শেয়ার হয়।

গত ১৬ মার্চ দেওয়া ওই পোস্টে লরেন লিখেন,  আলফির ব্লাড সুগার ৩.৭ এ দাঁড়িয়েছে, হার্টবিট কমে গেছে , তার শ্বাসকষ্টে সমস্যা হচ্ছে এবং সে রীতিমত কাঁপছে। সে সময়টা তার জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা ছিল বলে বলছেন লরিন।

কীভাবে আলফি ধীরে ধীরে অসুস্থ হলো তা বর্ণনা করেছেন তার মা।  সাঁতার শিখতে গিয়ে বেশি ক্লোরিন খেয়ে ফেলে আলফি, এরপর তার কফ আসা শুরু হয়, সেই থেকে পরবর্তীতে জ্বর।

এরপর তার স্কুল বন্ধ করে বাসায় রাখলে সে সুস্থ বোধ করে। একদিন পর আবার জ্বর আসে, খাওয়ায় অরুচি আসে সেইসঙ্গে কোথাও নড়াচড়া করতে চায় না। এরপর জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পরীক্ষার পর করোনা ধরা পরে তার। তারপর আইসোলেশনে রাখা হয়।

আলফি তার মাকে জিজ্ঞাসা করে আমি কি মারা যাব? মা লরেন সাহস যোগান। একদিন পর  আইসোলেশনে রাখার শর্ত দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। লরেন জানান, ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করেছে আলফি। তবুও শরীরে হালকা তাপমাত্রা আছে।

করোনাকে হালকাভাবে না নিয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন লরেন। সেইসঙ্গে প্রথম থেকেই রোগীর যত্ন নেওয়ার ব্যাপারেও সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

লরেন এই মহামারি পরিস্থিতিতে সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।