‘আমি একটা জিনিস বুঝি না, বাদ দিবেন কাকে?’

গত বছর আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়।

সেই সমালোচনায় বাদ যাননি প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও। সাবেক এই অধিনায়কের মেয়াদ শেষ হয়ে আরও এক মেয়াদের শেষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের নান্দনিক এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ পুরো দেশ। ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও তামিম-মুমিনুলদের পারফরম্যান্সে বেজায় খুশি।

নিউজিল্যান্ডে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহাসিক জয়ে নড়েবড়ে অবস্থায় থাকা প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর চাকরি বলতে গেলে স্থায়ী হচ্ছে। প্রধান নির্বাচকের চেয়ারে আরো কিছুদিন থেকে যাওয়ার রসদ পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক নান্নু।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমাদের বোর্ড কখনই কোচিং স্টাফ নিয়ে কিছু বলেনি। আপনারা সমালোচনা করেছেন, গণমাধ্যম করছে। এগুলো আপনারা কেন করেন আপনারাই জানেন!

পাপন আরও বলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের পর আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই কোচিং স্টাফ বদলানো হবে কিনা। আমি বলেছিলাম ওয়ানডেতে যে কোচিং স্টাফ ছিল, প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ম্যাচে সেই কোচিং স্টাফরাই ছিল। এবারো তারাই আছে। আমরা তো কোনো চেঞ্জ করিনি। একবার জিতেছে, আরেকবার হেরে গেছে। এসব ব্যাপার আমাদের কাছে কোনো ইস্যুই না।

বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, আপনারা একেকজন একেকভাবে ইন্টারপ্রিট করেন। যখন জিতে যায় মনে হয় সাংঘাতিক কিছু হয়ে গেল। আবার যখন একটা সিরিজ হেরে যায় তখন মনে হয় খুব খারাপ অবস্থা। আমরা কিন্তু একই অবস্থায় আছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধান নির্বাচককে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কঠোর সমালোচনা প্রসঙ্গে পাপন বলেন, নির্বাচকদের ব্যাপারে সব সময় একটা কথা বলি। আমি একটা জিনিস বুঝি না বাদ দিবেন কাকে। কাকে বলেন ওকে খেলাচ্ছে না। বদলাবেনটা কাকে? বোলিংয়ে হাত দেওয়ার উপায় আছে? ব্যাটিংয়েও পাবেন না একটা জায়গা ছাড়া। আগে দুইটা বলতেন যেখানটায়  ইয়াসির আলি রাব্বি খেলে আর আফিফ হোসেন। আফিফকে এখন বাদ দেয়ার সুযোগ আছে? রাব্বিও তো। সে তো থার্ড ওয়ানডে ফিফটি মেরেছে। ওদের তো সুযোগ দিতে হবে। এখানে নির্বাচনে আহামরি কোনো ভুল হচ্ছে- এটা বলার উপায় নেই।

 

সূত্রঃ যুগান্তর