আমিরাত-ইসরাইল চুক্তিতে সৌদিও শামিল হবে: প্রত্যাশা ট্রাম্পের

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে সৌদি আরব শামিল হবে বলে প্রত্যাশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা এসেছে।

সৌদি আরব এই চুক্তিতে যোগ দেবে বলে প্রত্যাশা করেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, আমি তাই মনে করি।-খবর রয়টার্সের

ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। আরব বিশ্বের একটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে মনে করেন তারা।

ফিলিস্তিনি আলোচক ডা. সায়েব এরাকাত স্কাই নিউজকে বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যকার চুক্তি আমার পিঠে ঢুকিয়ে দেয়া একটি আরবের ছোরা, একটি বিষাক্ত ছোরা। তারা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথ ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইরানের প্রভাব রুখতে আমিরাতসহ অনেক উপসাগরীয় দেশ ইসরাইলকে একটি সম্পদ হিসেবে দেখছে। মঙ্গলবার এক ইসরাইলি মন্ত্রী এমন দাবিই করেছেন।

সৌদি আরব, আমিরাত ও ইসরাইলের শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ইরানকে। তবে আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলির কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নাবিল আবু নাবিল আবু রুডেইনেহ এক বিবৃতিতে বলেন, এই চুক্তি জেরুজালেম, আল আকসা ও ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

আর এই সম্পর্ক স্থাপন দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার অস্বীকার করতে ইসরাইলকে সাহস জোগাবে বলে মনে করে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তারা জানায়, এতে ইহুদিবাদী বিশ্বাসকে এগিয়ে নেবে, ফিলিস্তিনিদের কোনো উপকারে আসবে না।

 

সূত্রঃ যুগান্তর