‘আমার দুর্ভাগ্য, জাতির জনকের গল্পের অংশীদার হতে পারলাম না’

শ্যাম বেনেগাল, নিঃসন্দেহে একজন অত্যন্ত গুণী নিৰ্মাতা। কোন প্ৰশ্নই আসে না তার সম্পৰ্কে কথা বলার, বিষেশত আমার মতো একজন মূৰ্খের মুখে! তিনি বারংবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্ৰ পুরস্কার জিতেছেন। নিশান্ত, অঙ্কুর, মন্থনের মতো অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্ৰ তিনি নিৰ্মাণ করেছেন।

এবার আসি মূল প্ৰসঙ্গে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান; জাতির জনকের বায়োপিক নিৰ্মাণ করবেন তিনি এবং সেটা নিৰ্মিত হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিতে, এটা মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হয়। সিনেমা এতো নকল কোন বিষয় না, যা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ (এই দেশ সম্পর্কে) একদল মানুষ নিৰ্মাণ করবেন। যারা কোনদিন এই বাংলার জলকাদায় হাঁটেন নাই, যারা দেখেন নাই পাল তোলা নৌকা, স্বচ্ছ বিলের জলে শাপলা ফুলের তলায় কিলবিল করা লতা গুল্ম আর জ্যান্ত মাছ। আরো কত কত উপমা হয়তো হাজির কৱা যেতো, কিন্তু তা অবান্তর! সিনেমা দু’একটা বানালেও আমরা দৃশ্যকল্প নিয়ে নাড়াচাড়া করি,অল্প কিছু বছর যাবত; তাই হয়তো ভাবি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই সিনেমা বানাতে আমাদের দিলে (নিশ্চয়ই আমাকে না) আমরা কাঁদতে কাঁদতে (অভাব) , ভালোবাসতে, বাসতে বানাতাম।

আমার দুর্ভাগ্য, আমাদের জাতির জনকের গল্পের অংশীদার হতে পারলাম না। যে সব তাবেদার এই সব বিপদগামী বুদ্ধি দেন, তারা কখনোই দুঃসময়ে পাশে থাকবেন না।
( পিপলুৱ নিৰ্মিত Hasina The daughter’s Tell পূনরায় দেখতে গিয়ে মনে পড়লো)
ওরা মুসলমান বলতেই বোঝে, গলায় একটা তাবিজ, মাথায় টুপি।  হিন্দু মানেই ধুতি! আমাকে এবং আমাদের যদি বলা হয় রাজস্থান নিয়ে ছবি বানাতে, হয়তো আমরা সবাইকে পাগড়ি পরিয়ে ছাড়বো।
যে দেশের যে ভাও; তা কি অন্য কেউ ধরতে পারে?
আমাদের নাসির ঊদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল, আতিক, অমিতাভ, সেলিম , ফারুকী এবং সবাই তো মেধাশূন্য না নিয়শ্চই!

 

বিনীত
অনিমেষ আইচ
ধানমন্ডি।

লেখক : নির্মাতা

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন