আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

‘আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই’; জলবায়ুর মানবসৃষ্ট পরিবর্তনের কারণে বিপন্ন হয়ে ওঠা পৃথিবীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি এভাবেই আর্তি জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিদায়ী মহাসচিব বান কি মুন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের ইস্যুতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন। সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে নতুন করে ৩১টি দেশের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার কথা জানান তিনি। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দেশের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিয়ে চলতি বছরেই জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা গেছে, মহাসচিবের আশা আর বিশ্বের বাস্তবতার মধ্যে ফারাকটা মোটেও কম নয়। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে তাই এখনও রয়েছে সংশয়।

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের ভয়াবহ বিপন্নতার কিছু গবেষণা-তথ্য

আইপিসিসির প্রতিবেদন: সেই শিল্পায়নের যুগ থেকে মুনাফার স্বার্থে মানুষ প্রকৃতির দিতে খেয়াল না করেই পুড়িয়ে যাচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি, বায়ুমণ্ডলে জমা করেছে কার্বনের অভিশাপ। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত প্রমাণ হাজির করেছেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর এই মুনাফার উন্মাদনার কারণেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে।  হারিয়ে গেছে ঋতু বৈচিত্র্য। ওজনস্তরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ফুটো। গলতে শুরু করেছে দুই মেরুতে জমে থাকা বরফ। জলবায়ুর প্রভাবজনিত কারণে বেড়ে গেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা, কৃষিতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। ক্রমাগত জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছে মানুষ।
জলবায়ু ইস্যুতে ২০১৪ সালে সবশেষ প্রতিবেদন জমা দেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্যানেল (আইপিসিসি)। ওই পঞ্চম মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বিশ্বের জলবায়ু পরিস্থিতিকে কেবল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি বরং পৃথিবীকে নিরাপদ রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে করা স্টার্ন রিভিউ (stern review) এর আলোকে ২০১৪ সালের আইপিসিসি প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। স্টার্ন রিভিউতে জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থনৈতিক প্রভাবকে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এতে অর্থনৈতিক মডেলিং-এর মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছিল যে, জলবায়ু বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে অভিযোজিত হওয়া (অ্যাডাপটেশন) এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব কমিয়ে আন তথা মিটিগেশনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এ খরচ বাড়বে। আর তাই যতো দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়াটা আবশ্যক বলে প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছিল। এর ২ বছর পরে এসে জাতিসংঘ মহাসচিব বললেন, সত্যিই নষ্ট করার মতো সময় নেই আমাদের হাতে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিপন্নতা: জলবায়ুর অব্যাহত পরিবর্তনে বাংলাদেশের সাগরবর্তী এলাকাগুলোতে নেমে আসছে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীন হাউস গ্যাসের কারণে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় একদিকে যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের তলদেশ উঁচু হচ্ছে, অন্যদিকে সাগরসংশ্লিষ্ট নদ-নদীগুলো নাব্যতা হারিয়ে গতিপথ পাল্টাচ্ছে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সাগরের পানি এখন ঢুকছে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। আর এ কারণে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছেন  খুলনার উপকূলীয় দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছার কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ।

চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে আশঙ্কা জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট পানির সংকট ওই অঞ্চলগুলোর অর্থনীতিতে ব্যাপক বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। পানির স্বল্পতার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ এসব অঞ্চলের জিডিপি গড়ে ৬ শতাংশ নেমে যেতে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়।

সারা বিশ্বের বিপন্নতার চিত্র: চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মেডিক্যাল সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা আশঙ্কা জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে ২০৫০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে বছরে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। গবেষণায় বলা হয়েছে, উষ্ণায়নের কারণে কিছু কিছু ফল ও শাক-সব্জি আরও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠবে।

ফেয়ারট্রেড অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় চালিত সংস্থা ক্লাইমেট ইন্সটিটিউটের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কফি উৎপাদনের জন্য উপযোগী ভূমি অর্ধেকে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর তাতে ১২০ মিলিয়ন বা ১২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কেবল ভূপৃষ্ঠেই নয়, মহাসাগরেও খুব দ্রুত হারে উষ্ণতা বাড়ছে বলে চলতি বছরের জানুযারিতে সতর্ক করেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে মহাসাগরের উষ্ণতা যতটুকু বেড়েছে তার অর্ধেকই হয়েছে গত ২০ বছরে। আর এভাবে সাগরের উষ্ণতা বেড়ে চললে তা সামুদ্রিক প্রাণির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা জানান মার্কিন বিজ্ঞানীরা।

সত্যিই যে বিপন্ন পৃথিবীকে রক্ষার সময় ফুরিয়ে আসছে, ওইসব গবেষণা-তথ্যের মধ্য দিয়েই জাতিসংঘ মহাসচিবের সেই আশঙ্কার যথার্থতা খুঁজে পাওয়া যায়।

কী ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার

প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের এই বিপন্নতার প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে কপ ২১ নামের একটি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো একটি জলবায়ু চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হন বিশ্বনেতারা। গত এপ্রিলে ১৭৫টি দেশ ওই সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তির আওতায় বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

চুক্তির লক্ষ্যমাত্রায় আরও রয়েছে- গাছ, মাটি ও সমুদ্র প্রাকৃতিকভাবে যতটা শোষণ  করতে পারে, ২০৫০ সাল থেকে ২১০০ সালের মধ্যে কৃত্রিমভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা। প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ রোধে প্রত্যেকটি দেশের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে গরিব দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর ‘জলবায়ু তহবিল’ দিয়ে সাহায্য করা।

জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের প্রশ্ন

চুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে কমপক্ষে ৫৫টি দেশের আইনসভার (পার্লামেন্ট) অনুমোদন লাগবে, যারা নিঃসরিত কার্বনের অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ কার্বন নির্গতকরণের জন্য দায়ী এমন ৫৫টি দেশে অভ্যন্তরীণভাবে চুক্তিটি অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ কার্বন নির্গতকারী দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্যারিস চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়। এ দুটি দেশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যৌথভাবে ৪০ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে থাকে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর)  জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানান, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এ বছরের এপ্রিলে বিশ্বনেতাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া প্যারিস সমঝোতা চুক্তির আওতায় কাজ করতে এরইমধ্যে ৫৫টিরও বেশি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে। চুক্তিটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নতুন করে ৩১ টি দেশ তাদের অনুমোদনপত্র জমা দিয়েছে বলে জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি অনুমোদনকারী দেশের সংখ্যা ৬০টিতে দাঁড়িয়েছে। আর বিশ্বে গ্রিনহাউজ গ্যাসের ৪৭.৫ শতাংশই এ ৬০টি দেশ থেকে নির্গত হয়ে থাকে। তবে বুধবার নতুন দেশগুলোর যোগদানের পরও চুক্তিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও সাড়ে সাত শতাংশ কার্বন নির্গতকরণের জন্য দায়ী দেশগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। কেননা, গত ২২ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হওয়া ওই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৫৫ শতাংশ কার্বন নির্গতকরণের জন্য দায়ী এমন অন্তত ৫৫টি দেশের অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রয়োজন। আর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৫৫টি দেশের অনুমোদনের ৩০ দিন পর চুক্তিটি কার্যকর করা যাবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের আশা বনাম বাস্তবতার দুরাশা

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের ইস্যুতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী মহাসচিব মুন এ বছরের মধ্যেই প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ অগ্রগতির কথা জানান। বুধবারের ওই বৈঠকের আগ পর্যন্ত জলবায়ু চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনকারী দেশের সংখ্যা ছিল ২৯টি। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় এ দেশগুলোকে অভিনন্দন জানান বিদায়ী মহাসচিব বান কি মুন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের ব্যাপারে দেশগুলোকে সতর্ক করে বান কি মুন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে। কোনও দেশ কিংবা কমিউনিটিই নিরাপদ নয়। তবে সেই বাজে প্রভাবটুকু প্রথমেই বোধ করার সক্ষমতার অভাব রয়েছে।’

জলবায়ু চুক্তির ব্যাপারে নতুন করে ৩১টি দেশের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার কথা জানিয়ে একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দেশের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিয়ে চলতি বছরেই জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বান কি মুন বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার অফিস ছাড়ার সময়েই প্যারিস চুক্তি কার্যকর হতে শুরু করবে। জোটবদ্ধতার ক্ষেত্রে তা হবে এক বড় অর্জন।’ ২০১৬ সালেই জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করে বান কি মুন জানান, বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন চলতি বছরের মধ্যেই নিজেদের আইনি সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা, কোস্টারিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, কাজাখস্তান, নিউ জিল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্র। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বাধা আমরা অতিক্রম করতে পারব। আমি আশা করছি এ বছরটি যখন শেষ হবে তখন গর্বের সঙ্গে আমরা পেছন ফিরে তাকাতে পারব। তখন আমরা জেনে যাব যে সবার ভালোর জন্য, একটি টেকসই ভবিষ্যত নির্মাণের জন্য এবং আমাদের ভুখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটি সুযোগকে আঁকড়ে ধরতে পারব।’

এমনিতেই চুক্তিতে যা আছে বিশ্বের সুরক্ষায় তা পর্যাপ্ত নয়। চুক্তিতে যা আছে তার অন্তসারশূন্যতা বিশেষজ্ঞদের হতাশ করেছে।  তারা মনে করছেন,  চুক্তিতে সুনির্দিষ্ট কর্মতৎপরতার পরিকল্পনা নেই। আর এই চুক্তি বাস্তবায়নও খুব কঠিন হবে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেমস হ্যানসন বলেন, ‘এই চুক্তি একটা ভুয়া ব্যাপার। একটা প্রতারণা। ‘আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখব এবং প্রতি ৫ বছরে তা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করব’; এটা কেবল কথার কথা। এটা কেবল একটা প্রতিশ্রুতি, এরমধ্যে কোন কর্মপরিকল্পনা নেই। যতোদিন পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানি পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা জ্বালানি থাকবে ততদিন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ এটা পোড়াতে থাকবে।’

 

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন