আমরা দুইজনই ওবামার নজরদারির শিকার: মের্কেলকে ট্রাম্প

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:ভোগান্তির দিক দিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে কিছুটা হলেও মিল খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যেমন করে অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের ফোনে নজরদারি চালিয়েছেন তেমন করে তার মোবাইলেও নজরদারি চালিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র সফররত মের্কেলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অন্তত কিছু মিল আছে, সম্ভবত।’

উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিমেন্স, স্কায়েফার এবং বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ও মের্কেলের বৈঠকে ন্যাটো ও বাণিজ্য-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ের কারণে মঙ্গলবার দুই নেতার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করা হয়। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৈঠক পিছিয়ে ১৭ মার্চ করা হয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকের আগে মেরকেল জার্মান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে ট্রাম্প বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকা জার্মানির মতো দেশগুলোর ওপর চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন,তিনি নির্বাচিত হওয়ার এক মাস আগে পূর্বসূরি বারাক ওবামা তার টেলিফোনে আড়ি পেতেছিলেন। ওবামা’র সমালোচনা করে টুইটারে দেওয়া ওই পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,‘ভয়ংকর! মাত্র আবিষ্কার করলাম,প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের কয়েক দিন আগে আমার ট্রাম্প টাওয়ারের ফোনে আড়ি পাতেন ওবামা। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি।’ টুইটারে দেওয়া আরেক পোস্টে ট্রাম্প বলেন,‘কতটা নিচু হলে অত্যন্ত পবিত্র নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সময় ওবামা আমার টেলিফোনে আড়ি পাততে পারেন। এটা নিক্সন/ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা।’ ট্রাম্পের এমন দাবির পর বারাক ওবামা’র মুখপাত্র কেভিন লুইস বলেছেন,ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি ‘ডাহা মিথ্যাচার’। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও অবশ্য দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের দাবিটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান সিনেটের রিচার্ড বুর এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সিনেটর মার্ক ওয়ার্নারের সঙ্গে দেওয়া ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে কিংবা পরে ট্রাম্প টাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নজরদারির বিষয়বস্তু ছিল না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে হাউস স্পিকার পল রায়ানও বলেছেন, ‘এ ধরনের কোনও আড়িপাতার ঘটনা ঘটেনি’। তবে ট্রাম্প এখনও তার বিশ্বাসেই অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন