আবাহনী হবে উপমহাদেশের ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

আবাহনীকে শুধু বাংলাদেশের নয়, এ উপমাহাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল শেখ কামালের স্বপ্ন এবং এর বাস্তবায়নে অচিরেই কাজ শুরু করছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্লাব প্রাঙ্গনে আয়েজিত হয় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ক্লাবের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত হওয়ায় ও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও সর্বশেষ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত আবাহনীর ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, খালেদ মাসুদ পাইলট,  সাবেক ফুটবলার আশীষ ভদ্র, খোরশেদ আলম বাবুল, আবদুল গাফফার ও সত্যজিত দাস রুপু ও  সাবেক হকি খেলোয়াড় জুম্মন লুসাই ও মামুনুর রশিদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য জুম্মন লুসাইয়ের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ছিল মরণোত্তর।

আবাহনীর ডাইরেক্টর ইন চার্জ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী নাবিল আহমেদ সভার শুভেচ্ছা বক্তব্যে সালমান রহমানকে শুধু আবহনীর নয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেছেন, ‘সালমান এফ রহমান দেশের জন্মলগ্ন থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ক্রীড়ার সঙ্গে জড়িত, আবাহনীর জন্য তিনি এক অনুপ্রেরণা। আমরা তাকে সংবর্ধিত করতে পেরে আনন্দিত, এ বছর আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালকে মরণোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে এজন্যও ক্লাব গর্বিত।’

হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে তুলে ধরেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠায় মানুষের অবদান ও ভালোবাসা, ‘আবাহনী এক সংগ্রামের নাম। আবাহনী এক ত্যাগের নাম। খেলার জন্যই আবাহনীর সৃষ্টি ও শেখ কামালের দূরদৃষ্টি এর চলার পাথেয়। আজকের এই আবাহনী মাঠ আন্দোলন করেই পাকিস্তান সরকার থেকে ছিনিয়ে আনা হয়েছিল। ৭৪ সালে একই সঙ্গে ফুটবল, হকি, ক্রিকেট ও টেবিল টেনিস শিরোপা জয় করে আবাহনী সারাদেশে অলোড়ন তুলেছিল।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘৭৫ এর বিয়োগান্তক ঘটনার পর আবাহনীর পর নেমে আসে দুর্যোগ। এরপর আবাহনীর হাল ধরে রেখেছেন সালমান এফ রহমান, কাজী শাহেদ আহমেদ, মমিনউদ্দিন এবং আরও অনেকে, আবাহনীর জন্মই খেলার জন্য আর সারাদেশে এর প্রচার ও প্রসারের জন্য। সারাদেশে আবাহনীর শাখাগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা উচিত বলে আমি মনে করি।’

সালমান এফ রহমান তার বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, ‘আমি আজ আবেগাপ্লুত হয়ে যাচ্ছি, আবাহনীর ওপর অনেক আঘাত এসেছে। ৭৫ এ ক্লাব দখল করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।  এতো কিছুর পরও সদর্পে টিকে আছে আবাহনী।  শেখ কামাল আবাহনীকে দেখতে চেয়েছিলেন এ অঞ্চলের ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হিসেবে। তার স্বপ্ন ছিল আবাহনী শুধু খেলবে না দেশের খেলার মানও বাড়াবে, আমরা সে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কমপ্লেক্সের ডিজাইন হয়ে গেছে, আমরা এখন রাজউকের অনুমোদন চাচ্ছি।’ ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমরা কাজে নামব আবাহনীর বিকল্প অবস্থানও ঠিক হয়ে গেছে। আগামী কিছু দিনের মাঝে আশা করি আমরা অর্থ সংস্থানের ব্যাপারটি চূড়ান্ত করতে পারব। আর এরপরেই শুরু হবে কমপ্লেক্সের কাজ। যার মাঝে পূর্ণ হবে শেখ কামালের স্বপ্ন ও আবাহনী পাবে পূর্ণতা।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন