আবাসিক হোটেলে অভিযান: যৌনকর্মী খদ্দেরসহ ১৯ জনকে দণ্ড

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 
গাজীপুরের পাঁচটি আবাসিক হোটেলে আজ সোমবার অভিযান চালিয়ে যৌনকর্মী ও খদ্দেরসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেলগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

গাজীপুরের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম কুদরত-এ-খুদা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরীন মাধবী, রাসেল মিয়া ও জুবের আলম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম কুদরত-এ-খুদা জানান, সোমবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজার এলাকার ময়নামতি আবাসিক, টঙ্গীর কাজী মার্কেটের মুন স্টার ও হাজি জলিল মার্কেটের অনামিকা, বন্ধু এবং সানমুন আবাসিক হোটেলে পৃথক অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ওই পাঁচটি আবাসিক হোটেল থেকে ছয়জন যৌনকর্মী ও তরুণী এবং ১৩ জন পুরুষ দালাল ও খদ্দেরসহ মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটককৃতদের হাজির করা হয়। আদালত এ সময় সরকারি আদেশ অমান্য করে অসামাজিক ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গণউপদ্রব সৃষ্টি করার দায়ে আটককৃত নারীসহ ১৭ জনের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ সময় আটক দুজনকে গাঁজা সেবন ও বহনের দায়ে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ হয়। একই সঙ্গে ওই আবাসিক হোটেলগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে অভিযানের বিষয়ে টের পেয়ে হোটেলের অন্য কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ হোটেলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অবাধ যৌনাচার বিপণনের অভিযোগ রয়েছে।

 

এনটিভি