আবরার হত্যা: রুমমেট মিজান আটকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় স্বজন-এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজানকে আটক করে ডিবি পুলিশ। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের পিরোনটোলা গ্রামের মদুল ইসলামের ছোট ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। মিজানের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, মেধাবী বুয়েট শিক্ষার্থী মিজান যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়। তাহলে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে মিজানের বড় ভাই জিয়াউর রহমান ও বাবা মদুল পরিস্থিতি জানতে ঢাকায় পৌঁছেছেন। অসহায় পরিবারের কাপড় ব্যবসায়ীর ছেলে মিজানুর রহমান মিজান চককীর্তি স্কুল এন্ড কলেজ এবং রাজশাহী কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বুয়েটে ওয়াটার রিসোর্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়। বড় ভাই জিয়াউর রহমানের টিউশনির টাকা দিয়ে চলতো মিজানের থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে লেখাপড়ার খরচ।

মিজানের পরিবারের রয়েছে অসুস্থ মা চেনুয়ারা বেগম, বাবা মদুল, বড় ভাই জিয়াউর, দুই বোন মরিয়ম (প্রতিবন্ধী) ও মর্জিনা। প্রায় ১৫ দিন পূর্বে অসুস্থ মাকে দেখতে ছুটে আসেন মিজান।

মিজানের ভাই জিয়াউর রহমান বলেন, মিজান আবরার হত্যায় জড়িত না, সে এজাহারভূক্ত আসামিও না, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ডিবি অফিস থেকে আমাকে ফোন দিয়ে জানায় মিজান ভাল আছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায়।

মিজানের মামা মহসিন আলী বলেন, আমার বোন বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থ, ছেলের এমন খবরে তিনি আরো বেশি অস্থির ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

চককীর্তি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য সাদিকুল ইসলাম বলেন, মিজান খুবই শান্ত ও মেধাবী ছাত্র। নিজ গ্রামে আসলে তার চলাফেরা সহজ সরল প্রকৃতির।

এ বিষয়ে ঢাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স/অ