আফগান ইস্যু: এখনো পাকিস্তানকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

যুক্তরাষ্ট্র এখনো চায় প্রতিবেশী আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ভূমিকা পালন করুক পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে দুই পুরনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্কে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন।

মার্চের ৩১ তারিখ কথিত ‘সম্প্রসারিত ত্রয়ীর’ আরেক দফা বৈঠকে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে উপস্থিত ছিল রাশিয়া ও চীনও।

চারটি দেশই আফগানিস্তান প্রশ্নে নিজেদের বিশেষ প্রতিনিধি পাঠায় চীনের প্রাচীন শহর টাংশিতে। সেখানে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আরেকটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন উল্লেখ করেন, ‘চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও পাকিস্তান প্রত্যেক দেশেরই আফগান সমস্যার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ’ ঠিক একই বক্তব্য শোনা যায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনেও।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘এই দেশগুলোর তালেবানদের ওপর ভালো মাত্রার প্রভাব রয়েছে। অতীতে সম্প্রসারিত ত্রয়ী একটি গঠনমূলক ফোরামের ভূমিকা পালন করেছে। আন্তর্জাতিক মহলের আফগানিস্তান প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’

প্রাইস আরো বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন স্বার্থ ‘ত্রয়ী সদস্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত’। এর মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সঙ্গে সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের। ওয়াশিংটনের বিশ্বাস, এখনো তালেবানের ওপর যথেষ্ট প্রভাব খাটিয়ে তাদের নীতি নির্ধারণকেক প্রভাবিত করতে পারবে ইসলামাবাদ।

ঠিক কীভাবে ত্রয়ী সদস্যদের নিজ প্রভাব ব্যবহার করা উচিত, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন প্রাইস। তিনি এ সম্পর্কে দুটি বিষয় তুলে ধরেন। গত বছরের আগস্টে কাবুল তালেবান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটন ওই বিষয় দুটি নিয়ে কথা বলে আসছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো- মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যেতে দেওয়া। আর দ্বিতীয়টি হলো- অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনকে উৎসাহিত করা।

প্রাইস যোগ করেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি- এই বার্তাগুলো যাতে তালেবানরা শুধু আমাদের বা আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের কাছ থেকেই না পায়। বরং এটি যাতে আরো অনেক দেশের কাছ থেকে আসে। বিশেষ করে ওই দেশগুলোর কাছ থেকে, যাদের ভালো মাত্রায় প্রভাব রয়েছে। ’

আফগানিস্তান প্রশ্নে পাকিস্তানের ভূমিকাকে ওয়াশিংটনের এই স্বীকৃতি দেওয়া একটি বিষয়কে স্পষ্ট করে তুলছে। তা হলো-পাকিস্তান কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে এমন বিষয়ে তাদের সঙ্গে এখনো কাজ করতে আগ্রহী ওয়াশিংটন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ