সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন বৃটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তিনি বলেন, আফগানিস্তান এবং এর জনগণকে পরিত্যক্ত ফেলে যাওয়া এক বিয়োগাত্মক, বিপজ্জনক এবং অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এটা যেমন তাদের স্বার্থে করা হয়নি, তেমনি আমাদের স্বার্থেও না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যখন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু করে, তখন তাতে যোগ দেয় বৃটেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন টনি ব্লেয়ার। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তারপর থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে তালেবানরা।
তারা একের পর এক প্রদেশ দখল করে নিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বিনা বাধায় দখল করে নেয় রাজধানী কাবুল। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। যুক্তরাষ্ট্র যে কোটি কোটি ডলার খরচ করে আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, তারাও লেজ গুটিয়ে নেয়। কাউকে দেখা যায়নি রাস্তায়। ফলে এটা বলা যায়, কার্যত তালেবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে আফগানিস্তান এবং তার সহায়তাকারীরা। এরপরই উদ্ধার অভিযান নিয়ে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে যেসব মানুষ রয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে এখন তালেবান আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। এসব নিয়ে নিজের ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে একটি বিস্তৃত আর্টিকেল লিখেছেন টনি ব্লেয়ার। তাতে আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তান এবং ইরাকে হামলায় বৃটেন যোগ দেয় টনি ব্লেয়ারের আমলে। এই যুদ্ধে সমর্থন দেয়ার জন্য ব্লেয়ারের সমালোচনা রয়েছে। এজন্য তাকে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব বলে অভিহিত করেন অনেকে। তবে তিনি মনে করেন, পশ্চিমা মিত্ররা এখন যে কৌশল নিয়েছে, তা তাদের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করবে।
তিনি লিখেছেন, পশ্চিমারা এখন কোথায় অবস্থান করছে বিশ্ব সে বিষয়ে অনিশ্চিত। কারণ, এটা স্পষ্ট হয়েছে যে- আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত কোনো গভীর কৌশল নিয়ে নেয়া হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে রাজনৈতিকভাবে।
তিনি আরও লিখেছেন, আমরা যা করেছি, তাতে সারাবিশ্বের প্রতিটি জিহাদি গ্রুপ উল্লাস করছে। এ পরিস্থিতি দেখবে রাশিয়া, চীন এবং ইরান এবং তারা সুবিধা নেবে।
স/জে