আফগানিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী কাবুলের উত্তরের পারওয়ান প্রদেশে বন্যায় দেড় হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর গালফ ট্যুডে।

চলতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ওই অঞ্চল থেকে ৯ শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তামিম আজিমি জানিয়েছেন, বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আশংকা করছি যে, অনেকেই এখনো পাথর ও কাদার মধ্যে চাপা পড়ে আছে। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি এবং পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ লোকজন নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তবে রাস্তা-ঘাট কাদা, মাটি ও পাথরে চাপা পড়ার কারণে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির একজন মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইটারে দেয়া এক বার্তায় বলেছেন, জীবিতদের জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বন্যার কারণে দেশটিতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আফগান সরকার এবং তালেবান বিদ্রোহী এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে শান্তি আলোচনা সত্ত্বেও দেশটিতে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান যখন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে তখন এই দুর্যোগের হানা এল দেশটিতে।

ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫০ জন আহত হয়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ কাশিম (৪৫) এএফপিকে জানিয়েছেন, বন্যায় তার পরিবারের ১১ সদস্য মারা গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বন্যায় বাড়ি ধসে তার পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়েছেন।