আফগানিস্তানের আকাশে বিপদের আশঙ্কা

আফগানিস্তানের আকাশে ঢুকে সে দেশ পেরিয়ে যেতে বিমানের সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। আর এই দীর্ঘ ৪০ মিনিট যদি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে পাইলটের কোনও যোগাযোগ না থাকে, তাহলে বিপদ প্রায় নিশ্চিত।

পেট ভর্তি যাত্রী নিয়ে সব প্লেনই তাই এড়িয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। কারণ, সোমবার নোটাম (নোটিস টু এয়ারমেন) জারি করে আফগানিস্তানের সদ্য ক্ষমতা দখলে নেওয়া তালেবান গোষ্ঠী জানিয়ে দিয়েছে, আফগান আকাশ-এলাকায় কোনও প্লেনকে ঢুকতে বারণ করা না হলেও এটিসি সেবা পাওয়া যাবে না। প্রশ্ন উঠেছে, আফগানিস্তানের মাথার ওপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় যদি কোনও বিমানে কোনও জরুরি পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাহলে কী করবেন পাইলট? কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? কোন বিমানবন্দরে গিয়ে নামবেন? ফলে, আফগান আকাশ এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব।

পেন্টাগন সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আমেরিকার সব সামরিক এবং বেসামরিক বিমান কাবুল বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এদিন সকালেই দিল্লি থেকে লন্ডন-গামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ় রুট বদলে মুম্বাই-ওমান হয়ে উড়ে গিয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট-এর এক কর্তার কথায়, ‘‘দিল্লি থেকে ইউরোপগামী বেশির ভাগ প্লেনই ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানের আকাশে ঢোকে। ফিরতি পথেই একই রুট ধরে তারা। আফগানিস্তানের আকাশে চারটি রুট তাই সব সময় ব্যস্ত থাকে।”

হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া-সহ বেশ কিছু দেশের প্লেনও ইউরোপ যাওয়ার সময়ে দিল্লি-পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানের রুট ধরে। আমেরিকার প্লেনেরও রুট একই। তাই ওই রুট বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে বিমান সংস্থাগুলো। কারণ, ঘুরপথে যেতে গেলে জ্বালানি লাগবে বেশি। তাতে ওজন বাড়বে বিমানের। যাত্রী নিতে হবে কম। ফলে মহামারীর আবহে আবারও আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা।

সোমবার আমেরিকা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার দু’টি প্লেনের পাইলট আফগান আকাশ বন্ধের খবর পান। মুখ ঘুরিয়ে তারা শারজার রুট ধরেন। কিন্তু এত ঘুরে আসার মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় শারজা বিমানবন্দরে নেমে আবার জ্বালানি ভরতে হয় তাদের।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন