সোমবার , ৪ মার্চ ২০১৯ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ

Paris
মার্চ ৪, ২০১৯ ১২:১৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

টাকা পাচারের তথ্য বা আলামত সংগ্রহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেতে ‘গাইডেন্স নোটস’ (নীতিমালা) তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে এ ধরনের কোনো ‘গাইডেন্স নোটস’ নেই। টাকা পাচারের ঘটনা তদন্তে অন্য দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহে এ নোটস প্রয়োজন। সম্প্রতি ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ’ সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে সব ধরনের সাইবার অপরাধকে মানি লন্ডারিং অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাসহ আরও ৫টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সিআইডিকে এ ব্যাপারে পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে কথা হয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সরকারের ওয়ার্কিং কমিটির এ সিদ্ধান্ত ভালো। দেশ থেকে যে টাকা পাচার হচ্ছে, সে বিষয়টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে ওঠে আসছে। পাচারের অর্থ কোথায় এবং কীভাবে কোন দেশে যাচ্ছে, সেটি বের করা দরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এ নিয়ে কাজ করছে। এ সংস্থার সীমাবদ্ধতা থাকলে তা দূর করতে হবে। আশা করি, এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

২০১৫ সালে দেশ থেকে চার ধাপে ৫৯০ কোটি ডলার (৫০ হাজার কোটি টাকা) পাচার হয়। সবশেষ গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন বলছে, ১০ বছরে দেশ থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এ অর্থ চলতি বছরের (২০১৮-২০১৯) জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি। বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। টাকা পাচারে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে ভাবছে। এসব অর্থ ফেরত আনতে সরকার নানা প্রক্রিয়া ও কৌশল অবলম্বন করছে। এ নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ’ সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটির ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটির মহাসচিব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব রিজওয়ানুল হুদা বৈঠকে বলেন, আগস্টে অর্থ পাচারের মানদণ্ড নিরূপণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) বৈঠক হবে। সেখানে অর্থ পাচার প্রতিরোধে আমাদের কাজের মূল্যায়ন হবে। সেখানে এ সংক্রান্ত আইসি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সংস্কার কার্যক্রমেরও মূল্যায়ন করা হবে। তার আগেই এক্ষেত্রে রেটিং উন্নয়নের সুযোগ আছে। তাছাড়া এপিজির বৈঠকে দেশের অবস্থান মূল্যায়নে যেন খারাপ চিত্র ওঠে না আসে, সেজন্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে ৫ দফা নির্দেশ দেয়া হয়। এরই মধ্যে পুলিশ সদরদফতরকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেতে একটি ‘গাইডেন্স নোটস’ তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া অর্থ পাচার নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা হয়। এসব মামলা ও রিপোর্টের যৌক্তিকতা পর্যালোচনায় এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফইউই) সঙ্গে ৩ মাস অন্তর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। কেননা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঘটনা দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাধ্যমে শনাক্ত হয়। পরে তা প্রতিবেদন আকারে যায় বিএফইউ’র কাছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর তা পাঠিয়ে দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা আদালতে মামলার জন্য। এখন থেকে তিন মাস অন্তর বৈঠকে এসবের অগ্রগতি জানানো হবে। এটি দুদক, সিআইডি, এনবিআর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সব মন্ত্রণালয় বিভাগ ও সংস্থাকে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে প্রণয়নকৃত অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রতিবেদন বিএফইইউতে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় বিভাগ ও সংস্থার কাছ থেকে এ প্রতিবেদন সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেয়া হয় বিএফইইউকে।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য