আত্রাইয়ে হিল্লা বিয়ের দাবিতে এক দম্পত্তিকে একঘরে

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই:

আত্রাই উপজেলার নৈদিঘী গ্রামের এক দম্পতিকে প্রায় এক মাস যাবৎ সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখা হয়েছে। ফলে ওই দম্পত্তির জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

নৈদিঘী গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে মিঠু মিঞা (৪০) জানান, গত বেশ কিছু দিন পূর্বে তার স্ত্রী ছালমা খাতুনের (৩৩) সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় সমোঝতার ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। বিয়ে বিচ্ছেদের পর নিজেদের ভুল বুঝাবুঝি বুঝতে পেরে স্থানীয় কাজির (বিবাহ রেজিষ্টার) মাধ্যমে আমরা আবারও বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই। এর পর থেকে আমরা ঘরসংসার করতে থাকি। এরই এক পর্যায় গত প্রায় এক দেড় মাস পূর্বে গ্রামের মাতব্বররা বৈঠক করে আমার স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে দিতে বলেন। আমি তাদের কথামত স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে না দিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অপরাধে আমাকে একঘরে করার ঘোষণা দেন। তাদের ঘোষণার পর থেকে গ্রামের লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করে রাখে। ফলে আমার জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

একঘরে করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে নৈদিঘী গ্রামের মাতব্বর রাফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, মিঠু মিয়াকে একঘরে করার বিষয়টি সঠিক নয় এবং তার স্ত্রীকে আমরা হিল্লা বিয়ে দেয়ার কথাও বলিনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্র্যাকের আইন সহায়তা কর্মসূচীর সংগঠক শ্যামলী আক্তার বলেন, মিঠু মিয়াকে একঘরে করার অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। আমি আইন অনুযায়ী তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

স/অ