আত্রাইয়ে বিদ্যুতের ভেলকি বাজিতে জনজীবন অতিষ্ট

আত্রাই প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। নাম মাত্র ঝড় বৃষ্টি হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা এমন কি দিনের পর দিন বিদ্যুতের দেখা পায়না গ্রাহকরা। উপজেলা সদর ফিডারে কিছুটা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও অন্যান্য পাঁচটি ফিডারের গ্রাহকদের যেন কোন মুল্যায়নই নেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে। ফলে এসব ফিডারের গ্রাহকদের একদিকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন অপর দিকে কলকারখানায় হ্রাস পাচ্ছে উৎপাদন। প্রায় মাসাধিককাল ধরে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

 
জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৬টি ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ ৬ ফিডারের আওতায় রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক। আবাসিক, বাণিজ্যিক, দাতব্য ছাড়াও রয়েছে সেচ সংযোগ। গত এক মাসের অধিক সময় ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় সকল স্তরের গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত আত্রাই রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন মাছ বাজার এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বরফ মিল। যে বরফ দিয়ে সংরক্ষিত করা হয় এখানকার শতশত টন মাছ। আর এ মাছ বাজারজাত করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। সম্প্রতি বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে বরফ মিলগুলোতে বরফ উৎপাদন কমে যাওয়ায় মাছের বাজারে ধ্বস নেমেছে। সেই সাথে মিল মালিকদের আর্থিক লোকসান গুণতে হচ্ছে।

 
উপজেলার হাতিয়াপাড়া গ্রামের গৃহবধূ মিনি আক্তার বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে আমরা দৃর্বিসহ জীবন যাপন করছি। ফ্রিজ ও পানির মোটর চালাতে না পেরে প্রায়ই অন্যত্র থেকে পানি এনে বাসার প্রাত্যহিক কাজ করতে হচ্ছে।

 
শাহাগোলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সামান্ন ঝড় বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন বিদ্যুৎ থাকছে না। উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ থাকলেও আমরা মফস্বল এলাকার গ্রাহকরা খুব কমই বিদ্যুৎ পেয়ে থাকি। যেন তারা আমাদের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ করেন।

 
আবাসিক প্রতিষ্ঠান মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান জানায়, প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের লেখা পড়ায় মারাত্বক বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে।

 
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম মো: আবুল কাশেম বলেন, ঝড় বৃষ্টির কবলে পড়ে অনেক সময় লাইন ফল্ড হয়ে যাওয়ায় এ বিভ্রাট হচ্ছে। এ ছাড়াও গ্রিড বিপর্যয়ের জন্য বিদ্যুতের ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এটি মেরামত হলেই আর লোড শেডিং থাকবে না।
স/শ