আত্রাই প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি বিদ্যালয়ে ঘর ও দরজা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আত্রাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও তেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে স্থানীয় হিতৈষি ব্যক্তিদের সহযোগিতায় উপজেলার বান্দাইখাড়া গ্রামে বান্দাইখাড়া নি¤্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সে সময় জনৈক এলাহীবক্স বিদ্যালয়ের জন্য বেশ কিছু জমি লিখে দেন ছেলেকে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার সুবাদে।
সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই জমির উপর স্থাপনা গড়ে তোলেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যথারীতি পাঠদান কার্যক্র সুষ্ঠভাবে চলে আসছিল।
এরই মাঝে শিক্ষাবোর্ড থেকে একাডেমিক স্বীকৃতিও নেয়া হয়। বিনা বেতনে শিক্ষকদের ১৯৯৯ সাল থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শ্রম দেয়ার পর বিদ্যলয়টি এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় তাতে ভাটা পড়তে শুরু করে। এক পর্যায় ২০১৪ সাল থেকে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। তারপরও হাল না ছেড়ে বিদ্যালয়টিকে এমপিও ভূক্ত করানো চেষ্ঠা করতে থাকেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মন্ডলী।
এরই এক পর্যায় জায়গার মালিকানা দাবি করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল গত ২৭ সেপ্টেম্বর লোকজনসহ ওই বিদ্যালয়ের টিনসেড ভাংচুর করে এবং ঘরের ;টিন দরজা, জানালা রড ও বাঁশসহ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চলে যায়। এমন কি নীচের ইট পর্যন্ত তুলে ফেলানো হয়।
এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জল হোসেন বাদি হয়ে বান্দাইখাড়া গ্রামের বাথিন সরদার, আসলাম হোসেন, মামুন হোসেন, আজাদ, আল-আমিন ও সোহেলকে অভিযুক্ত করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর আত্রাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর সরদার বলেন, যেখানে বর্তমান সরকার শিক্ষার আলো বিস্তারে সচেষ্ট। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা চরম অমানবিক কাজ। যারা এর সাথে জড়িত আমি তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করি।
বান্দাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক সরকার বলেন, বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে রয়েছে, তাই জমির মালিকরা এটা করেছে।
আত্রাই থানার ওসি বদরুদ্দোজা বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/আ