আত্রাইয়ে তীব্র শীতে সীমাহীন দূর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

নাজমুল হক নাহিদ:
নওগাঁর আত্রাই নদীর তীরবর্তী খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের শীতের তীব্রতায় দিন কাটছে চরম দুর্ভোগে। কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বৃষ্টির মতো নামছে শীতের শিশির সেই সাথে বইছে উত্তরের ঠান্ডা হিমেল হাওয়া। হিমেল হাওয়া যেন শীতের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

এ অবস্থায় হাড় কাপানো শীতে কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। কাজে যোগ দিতে না পেরে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের অনেকের নেই শীতের গড়ম কাপড়। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শ্রমজীবি নারী ও বৃদ্ধারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমজীবী নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কাজ করেন বিভিন্ন ফসলের মাঠে। তারা জানান, ভোরে ঘুম থেকে ওঠে নিজেই রান্না-বান্না করতে হয়। এই শীতে সাংসারিক কাজকর্ম সেরে কর্মস্থলে যেতে তাদের অনেক কষ্ট হয়।
সোমবার সকালে কথা হয় আত্রাই উপজেলার পাইকারা গ্রামের শ্রমজীবী নারী বিলকিস আক্তারের সাথে। তিনি জানান, খুব সকাল সকাল তাকে ঘুম থেকে উঠে রান্না-বান্না শেষে সন্তানদের কে স্কুলে পাঠিয়ে তাকে কর্মস্থলে আসতে হয়। কয়েক দিনের শীতে তাকে কর্মস্থলে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পেটের দায়ে অনেকেই দিন মুজুর হিসেবে মাটি কেটে, ইটভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এদের মধ্যে অনেকই রয়েছে বৃদ্ধ। শীতের তীব্রতা ও গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
ইটভাটায় কর্মরত সাজেদুর রহমান জানান, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। পেটের দায়ে বৃদ্ধ বয়সে কাজ করছেন ইটভাটায়। থাকেন ইটভাটার এক খুপড়ি ঘরে। তিনি বলেন, শীতের কারণে রাতে মাঝে মাঝে মনেহয় হাত পা বরফ হয়ে গেছে।
উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের অটো রিকশাচালক মজিবর বলেন, সকাল বেলা গাড়ি নিয়ে বের হলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি থাকায় লোকজন কম থাকে। এজন্য তাকে গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয়।
এসব নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশার মানুষ চায় স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে। শীতের তীব্রতা তাদের এ বেঁচে থাকার অধিকারও যেন কেড়ে নিতে চাচ্ছে। এজন্য এসব খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার সদয় হয়ে পাশে দাঁড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশাই করছেন তারা।
স/শ