আত্রাইয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে থানা পুলিশের সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক

আত্রাই প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন নির্মূলে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ব্যতিক্রমী কাজ শুরু করেছে আত্রাই থানা পুলিশ।

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আত্রাই থানা পুলিশের উদ্যোগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসায় বাল্য বিয়ে, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন নির্মূলেসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠান হচ্ছে। যা আইনশৃঙ্খলায় সাফল্য আনতে পারে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

উঠান বৈঠকে আসা একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা সাধারণ মানুষ আমরা সব সময় পরিবারের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করি। আমরা আগে বাল্য বিয়ে, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ের খারাপ দিক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। কিন্তু থানা পুলিশের উঠান বৈঠকে এসে এই সব খারাপ বিষয়ের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে গভীর ভাবে জানতে পেরেছি। আমরা সচেতন হয়েছি এবং যারা উঠান বৈঠকে আসতে পারেনি আমরা তাদেরকেও এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছি।

তারা আরো বলেন, উঠান বৈঠক দ্বারা সমাজে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। বেশি বেশি করে এই ধরনের উঠান বৈঠকের আয়োজন করা উচিত। সমাজের সকলে সচেতন হলেই সমাজ থেকে এই ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাস নামক সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে দূর করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন আত্রাই উপজেলাকে শতভাগ মাদক নির্মূলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ ব্যক্ত করে বলেন, উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের মাঝে জননিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক সমস্যাসমূহ উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন গ্রামে গিয়ে ওই এলাকার জনগণের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে আত্রাই থানা পুলিশ।

এছাড়াও অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ প্রদানের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের মানুষের মতামত, বুদ্ধি, যুক্তি, তথ্য সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান সম্ভবপর বলে তিনি মনেকরেন। তিনি আরো বলেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের জননিরাপত্তা-সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে ওসির দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা আছে।

এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন, থানা পুলিশের সচেতনতামূলক এ কর্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশ জনগনের অনেক কাছাকাছি আসতে পারবে এবং সমাজ থেকে সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান সম্ভবপর হবে।