আড়াই কেজি পেঁয়াজের বদলে দুটি পাতিলেবু!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ভারতের মুর্শিদাবাদের আজিজ শেখ। রোববার (২৪ এপ্রিল) পেঁয়াজ নিয়ে হাজির হন নওদার আমতলা বাজারে। এক পাতিলেবু বিক্রেতার সামনে উপুড় করে দেন আড়াই কেজি পেঁয়াজ। সেই বিক্রেতা তার বদলে তাকে তুলে দেন দুটি পাতিলেবু।আশ্চর্যজনক হলেও এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাজারে। বিশেষ করে রমজান মাসে ভারতে আরও বেড়ে গেছে লেবুসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

জানা গেছে, নওদার রায়পুরের বাসিন্দা আজিজ পেঁয়াজ চাষ করেন। তিনি জানান, গত কয়েক দিন পেঁয়াজের দাম তলানিতে এসে ঠেকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ রুপি। চাষিরা পাচ্ছেন, পাঁচ থেকে সাত রুপি প্রতি কেজি বাবদ। আজিজের মতো ক্ষুদ্র চাষিদের অবস্থা আরও শোচনীয়। রোজার মধ্যে অর্থের অভাবে পাতিলেবু বা অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তারা সংগ্রহ করছেন অবিক্রিত পেঁয়াজের বিনিময়ে।

পেঁয়াজ ও পান চাষে নওদার খ্যাতি রয়েছে। সেখানে পেঁয়াজ, বরজের পানের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা চলে। কিন্তু চাষিদের দাবি, এ বারের মতো পেঁয়াজের বিক্রি তাদের আগে করতে হয়নি।

আজিজের আক্ষেপ, রোজার মাসে ইফতারের শরবত বানাতে লেবু দরকার। কিন্তু সেই পাতিলেবু কেনার অর্থও হাতে নেই তাদের।

তবে পাতিলেবুর বিক্রেতার রমরমা অবস্থা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে করোনা মহামারির মধ্যে, এমনকি রোজায় বেড়ে গেছে পাতিলেবুর চাহিদা। স্ই সঙ্গে বেড়েছে দাম।

চাষিরা বলছেন, এ বছর চাহিদার তুলনায় পাতিলেবুর জোগান কম। স্থানীয় বাজারে পাতিলেবু উঠতে আরও মাস দেড়েক সময় লাগবে। জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে সাধারণ মাপের কাগজি লেবু এখন বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ রুপিতে। একটু বড় লেবুর দাম প্রতিটি ১০ রুপি। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণ মাপের লেবুতে রস না থাকায় ১০ রুপি দিয়ে কাগজি লেবুর দিকেই ঝুঁকছেন অধিকাংশ ক্রেতা।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ