সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া আজ। দেবীপক্ষ শুরু। দেবীপক্ষ হলো অসুরের বিরুদ্ধে দেবীর সংগ্রামের পক্ষ। দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু হলো।
অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠায় মর্ত্যে আসবেন দেবী দুর্গা। ভোরে মহালয়ার ঘট স্থাপন, বিশেষ পূজা আর মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আসলে চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।
শাস্ত্র মতে, মহালয়া অতি পূণ্য তিথি। মহিষাসুরমর্দিনী মহাদেবীর আবির্ভাব ঘটে এই পুণ্য তিথিতে। মহালয়ার অমাবস্যার পর শুক্লপক্ষে দেবীর পূজা শুরু হয়। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা দুর্গাপূজার ।
মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া।