রাজশাহীতে ভক্তি-শ্রদ্ধায় কুমারীপূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ মহাষ্টমী। ঢাক-ঢোল বাজছে বিরামহীন। থেমে থেমে বেজে ওঠছে কাঁসর আর ঘণ্টার শব্দ। রয়েছে মা-মাসিদের ভক্তিধরা উলুধ্বনি। এরইমধ্যে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হলেন ‘কুমারী মা’।

মণ্ডপে ‘কুমারী মা’-এর আসন গ্রহণ করতেই ‘জয় কুমারী মা কি জয়, জয় মহামায়া কি জয়, জয় শ্রী শ্রী দুর্গা মা কি জয়’- ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠেছে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন মন্দির ও মঠ প্রাঙ্গণ৷ বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো লোকের ভিড়ে এমনই জয়ধ্বনি দিয়ে ভক্তরা ভক্তিভরে বরণ করে নেন ‘কুমারী’ মা প্রশংসা প্রিয়তা বন্দোপাধ্যায়কে। শাস্ত্র মতে, এদিন তার নামকরণ করা হয় ‘সুভগা’।

সকাল থেকেই পূজামণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার ভিড় ভক্তদের। আনন্দ গায়ে মেখে রাতভর মণ্ডপমুখী থাকে দর্শনার্থীরা। গত কয়েক বছরের মতো এবারও তৃতীয়া থেকেই উপচে পড়েছে ভিড়।

রাজশাহীতে বেশ জমে উঠেছে দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে আজ রোববার রাজশাহীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ভক্তরা উপবাস থেকে মন্দিরে মন্দিরে পূজা দেন। সকল মন্দিরে ঘুরে একই রকম চিত্র দেখা যায়।

আজ অষ্টমিতে নগরীর স্বপ্ন কুটির মন্ডপে ঘুরে জানা যায় তারা সাম্প্রদিক সৌহাদ্য বজাই রেখে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপন করছে। গত ৯ থেকে ১০ বছর ধরে পূজা মন্ডপটি এই ভাবেই পরিচালনা করে আসছেন বলে জানান স্বপ্ন কুটির মন্ডপের সভাপতি জাদব সরকার। সরকারি বিভিন্ন সহায়তা পেয়ে খুশি বলে জানান তিনি এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভক্তরা মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে পূজা উদযাপন করতে পারছে বলে জানান তিনি।

আজ দুর্গাপুজার মধ্যভাগ। এই উৎসবকে নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা কমে না কখনও। অষ্টমীর পূজা শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি। উদাত্ত কণ্ঠে স্তোত্রপাঠ। বেলা গড়ালেই সন্ধি পূজা।

 

স/রি