আজ আসছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় আসছেন। এটি হবে বাংলাদেশে নেপালের প্রথম প্রেসিডেন্টপর্যায়ের সফর। ইতোপূর্বে ২০১৯ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নেপাল সফর করেছেন।

নেপালের প্রেসিডেন্টকে বরণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোকে বাংলাদেশ ও নেপালের পতাকা দিয়ে মনোরমভাবে সাজানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে নেপালের প্রেসিডেন্টের এই সফর। কর্মকর্তারা বলছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেপালের প্রেসিডেন্টের এই সফর বাংলাদেশ ও নেপালের জনগণের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। দুটি দেশ এবং জনগণ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভাষার বন্ধনে আবদ্ধ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জনগণের সমর্থন আমরা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ঢাকায় অবতরণের পরপরই তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিকপর্বেরও আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

উভয় রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি কিংবা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকসমূহ স্বাক্ষরিত হলে দুদেশের মধ্যে পর্যটন খাত, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিনিধি দলের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন। পরদিন, ২৩ মার্চ কাঠমান্ডুতে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি দলে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকছেন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর