আজারবাইজানের দখলকৃত এলাকায় এস-৩০০ মোতায়েন আর্মেনিয়ার

বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া লড়াই আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। সীমান্তে দুই দেশই ভারী কামান মোতায়েন করেছে।

এদিকে আজরবাইজানের বিরোধপূর্ণ এলাকায় আর্মেনিয়া রুশ নির্মিত এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে বলে অভিযোগ করেছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর ডেইলি সাবাহর।

আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান থেকে এসব এস-৩০০ আজারবাইজানের দখলকৃত এলাকায় এনে জড়ো করা হচ্ছে।

এদিকে টানা চতুর্থ দিনের মতো প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এরই মধ্যে নারী ও শিশুসহ অন্তত নিহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে সেনাসদস্য ছাড়াও রয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী বেসামরিক নাগরিকরা।

রোববার থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রতিপক্ষের সেনারা ফিজুলি, জাবরাইল, আগদেরে ও টার্টারমুখী পাল্টা-আক্রমণ শুরু করে হারানো এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার সকালে ফিজুলি শহরের আশপাশে লড়াই চলছিল এবং আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী নাগোরনো-কারাবাখের কয়েক মাইল দূরে দুই দেশের মধ্যবর্তী দেশকেসান অঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে।

আর্মেনিয়া এসব প্রতিবেদন অস্বীকার করে বলেছে, রাতভর লড়াই হয়েছে এবং নাগোরনো-কারাবাখের সেনাবাহিনী বিভিন্নমুখী হামলা প্রতিহত করেছে।

১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হন।

কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই নতুন করে সংঘাতের সূত্রপাত।

দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বড় ধরনের সংঘাতে জড়ায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।

 

সূত্রঃ যুগান্তর