আজও আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে আজও আদালতে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি আদালতে পৌঁছাবেন।

পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচারকাজ চলছে।

গত ১৬ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ। তবে তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়নি।

গত ২০, ২১, ২৬, ২৭, ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ ও ৪ জানুয়ারি অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর দুদকের দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেন।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এ ছাড়া ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

রাইজিংবিডি