খবরটা এলো আচমকা। বেশি বয়সে হয়তো অভিষেক হয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট দলের হয়ে। কিন্তু অভিষেকের পর নিজের জাত বেশ ভালোকরেই চেনাতে শুরু করেছিলেন ভানুকা রাজাপাকষে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছিলেন তিনি।
কিন্তু আজ হঠাৎ করেই কি না তিনি ঘোষণা দিলেন, গুডবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট। ৩০ বছর বয়সেই মাত্র ৫টি ওয়ানডে এবং ১৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টের পরেই সবাইকে চমকে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন কুইন্টন ডি’কক। পারিবারিক কারণে হবু সন্তানের সঙ্গে অধিক সময় দেওয়ার জন্য তার এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। এবার অনেকটা একই কারণে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ভানুকা রাজাপাকষে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩১ বলে ৫৩ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন রাজাপাকষে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কাও মারেন ৩টি। তার এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনেই হেরে গেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জুলাইয়ে, ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিজের অভিষেকও ঘটান বাঁ-হাতি ব্যাটার। তবে হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে বুধবার (৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা বলে চিঠি পাঠিয়েছেন লঙ্কান বোর্ডের কাছে।
সেই চিঠিতে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে রাজাপাকষে লেখেন, ‘আমি অত্যন্ত গভীরভাবে একজন ক্রিকেটার, একজন স্বামী হিসেবে নিজের পরিস্থিতি বিচার করেছি। তারপরই পিতৃত্ব এবং অন্যান্য পারিবারিক বাধার জেরে আমি এই সিদ্ধান্তে (অবসর গ্রহণের) উপনীত হয়েছি।’
২০১০ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বাধিক রানসংগ্রাহক ছিলেন। গত বছরই দল থেকে ফিটনেসের কারণে বাদ পড়ার পর প্রকাশ্যেই এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের নির্বাচন পদ্ধতির তুলোধোনা করেছিলেন তিনি। এর কারণে প্রথমে তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হলেও, দলে ফিরে আসেন তিনি। রাজাপাকষের অবসরে ফের একবার লঙ্কান বোর্ডের সাংগঠনিক ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো।
সূত্রঃ জাগো নিউজ