রাজধানীর রমনা থানাধীন বেইলি রোডে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদারের বাসভবনের ফটকে নিজের বন্দুকের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান (২৬) ফেসবুকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
মৃত্যুর দুদিন আগে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসগুলোর মধ্যে একটি ছিল এরকম- ‘কথা দিয়ে আঘাত না করে হাত দিয়ে আঘাত করা যেত। ক্ষতটা অন্তত দ্রুত সেরে যেত।’
অন্য একটি স্ট্যাটাসে মেহেদী হাসান লিখেছেন, ‘আগে জানলে স্বার্থভরা পৃথিবীতে আসার জন্য আল্লাহর কাছে কখনও বায়না করতাম না, ভালো থাকুক প্রিয়জনেরা।’
শুক্রবার বিকালে মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকাল ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসপি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে মেহেদী হাসান প্রধান ফটকে রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাইফেলে গুলি লোড করা ছিল। মনে হচ্ছে, মেহেদী আত্মহত্যা করেছেন। আবার অসাবধানতাবশত ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বেরিয়ে যেতেও পারে। সিআইডির অপরাধ শনাক্ত দল আলামত সংগ্রহ করেছে।
কনস্টেবল মেহেদীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রমনা থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান, বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা জেলার এসপির বাংলো থেকে মেহেদীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার থুতনিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কনস্টেবল মেহেদীর নম্বর ১৩২৫, বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আনেহেলা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল হানিফ।
সূত্রঃ যুগান্তর