আগামী দুইদিন পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

আগামী দুইদিন পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশীদ আহমেদ। এসময়ে পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পাকিস্তানের জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রশীদ আহমেদ বলেন, শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কোনো কিছু এখনো চূড়ান্ত হয়নি তাই মানুষকে শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কারণ রাজনৈতিক পরিবেশ যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।

এদিকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে অনাস্থা ভোটে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন ইমরান খান। পার্লামেন্টে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই ভোটের ব্যবধান বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জিও টিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯-১৪২ ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন ইমরান।

তবে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)। পার্লামেন্টে তাদের সাতজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন। ভোটের আগে বিরোধীদের সঙ্গে তাদের হাত মেলানো ধুঁকতে থাকা পিটিআই সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে ১৯৯ ভোট। অপর দিকে ইমরান সরকারের রয়েছে ১৪২ ভোট। অথচ জাতীয় পরিষদে পিটিআইয়ের ১৫৫ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। এর মানে ইমরানের নিজ দলের ১৩ আইনপ্রণেতারও ভোটও বিরোধী জোটে যাচ্ছে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ