আগামী তিন মাস যেভাবে কাটবে ডোমিঙ্গোর সময়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

তাকে নিয়ে যত রকম প্রশ্ন ছিল, তার প্রায় সব কিছুর উত্তরই আজ জানা হয়ে গেছে। বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন সোমবার দুপুর গড়াতেই জানিয়ে দিয়েছেন, হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এশিয়া কাপে আরব আমিাতে যাবেন না এবং শুধু তাই নয়, এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে কোন হেড কোচই থাকবেন না।

তাহলে কে হেড কোচের দায়িত্বে থাকবেন? সে প্রশ্নের জবাবে বিসিবি প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘টিম ডিরক্টের খালেদ মাহমুদ সুজন থাকে। ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ভাই (জালাল ইউনুস) থাকবেন। আমিও যাব। আমিও থাকবো। তবে ডোমিঙ্গো যাবে না।’

কেন তাকে পাঠানো হবে না? তার ব্যাখ্যায় নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা চাই নতুন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার স্বাধীনভাবে কাজ করুক। হেড কোচ থাকলে তার পক্ষে ইচ্ছেমত কাজ করা কঠিন হতে পারে।’

পাপন বুঝিয়ে দিলেন, ‘শ্রীধরন শ্রীরামকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্যই ডোমিঙ্গোকে এশিয়া কাপ থেকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিন মাসের বিশ্রাম বা বিরতি দেয়া হচ্ছে।’

ডোমিঙ্গো কি এমন বিরতি চেয়েছিলেন? তাকে যে ব্রেক দেয়া হচ্ছে, তা তিনি কিভাবে নিচ্ছেন? ডোমিঙ্গো মনে করেন, তার অবশ্যই একটা ব্রেক দরকার ছিল। তাই মুখে এমন কথা, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমার একটা ব্রেক দরকার ছিল। আমার পরিবারকে সেভাবে সময় দিতে পারিনি। পরিবারকে আরও বেশি সময় দেয়া দরকার। মাঝে ৫ সপ্তাহ কাটিয়ে এলাম।’

ডোমিঙ্গো তার দক্ষিণ আফ্রিকায় কোচিং করানোর সময় শিখেছেন, মাঝে মধ্যে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ব্রেক দরকার। আর আমার দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করার সময় আমি শিখেছি, জেনেছি মাঝে মধ্যে একটু বিশ্রাম, বিরতি একান্তই দরকার। তাতে করে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের মানসিক সজীবতা ও সতেজতা ফিরে আসে। বাংলাদেশে কাজ করতে এসে অতীতে যা পাইনি আমি।’

‘আমি যখন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ছিলাম তখন যত ম্যাচ খেলেছি আমাদের বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা তার চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছে। বেশি খেলার কারণে মানসিক দিক থেকে ফেটিক চলে আসতে পারে এবং পারফরমেন্সও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ’

বাংলাদেশের টেস্ট আর ওয়ানডে কোচ মনে করেন, ‘টিম বাংলাদেশে আরও বেশি খেলোয়াড় দরকার। যাতে করে আমরা কিছু প্লেয়ারকে বিশ্রাম দিতে পারি। আমাদের আগামীতে অনেক খেলা এবং সামনের বছর অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। এর পাশাপাশি অনুশীলন, ভ্রমণ ও প্রস্তুতি মিলে আরও অনেকটা সময় জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।’

সামনের তিনমাস জাতীয় দল শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবে। আর তিনি থাকবেন তার বাইরে। এ সময়টা কি করে কাটবে তার?

ডোমিঙ্গো আগামী দুই সপ্তাহর মধ্যে তা লিখে জানাবেন বোর্ড সভাপতির কাছে। তবে এরই মধ্যে তার কিছু লক্ষ্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন। ‘আমি দুবাই যাব। তামিম, মুমিনুল, শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বি সহ বেশ কজন টেস্ট প্লেয়ার সেখানে খেলবে। দেখতে। যা খুবই কাজে দেবে। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় লিগ দেখার ইচ্ছে আমার। এগুলোই আমার আগামী দিনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার অংশ।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ