আগামীকাল থেকে বাঘায় আম সংগ্রহ শুরু, বাজার নিয়ে শঙ্কা

আমানুল হক আমান, বাঘা:
আগামীকাল ১৫ মে থেকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাগানগুলো থেকে আম সংগ্রহ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে আম চাষিরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও করোনা আতঙ্কের কারণে এবার বাজার নিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলার মনিগ্রামের আম চাষি জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা আতঙ্কের কারণে এবার বাজার নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তা রয়েছি। এখনো পাইকারী কোনো ব্যাপারী আমের বাগান কিনতে আসেনি। তবে বছর জুড়ে আমের উপর নির্ভলশলী যে সকল চাষি, তারা চরম শঙ্কায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই আম সংগ্রহের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

আড়ানী এলাকার আম চাষি আলহাজ্ব মো. মতলেব হোসেন বলেন, এবার আমের তেমন কোনো চাহিদা নেই। গতবার এ সময় কয়েকটি বাগান বিক্রি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার কোনো ক্রেতা আসেনি। তবে গত বছর যে গাছে ২০ মণ আম হয়েছে, এবার সেই গাছে অর্ধেকও হবে না।

বাউসার আম উৎপাদনকারি শফিকুর রহমান বলেন. এবার আমের দাম না পেলে মারাত্মভাবে ক্ষতিরমুখে পড়তে হবে। করোনা আতঙ্কেও কারনে এখনো পাইকারী ক্রেতারা আসেনি। এই অবস্থা চলতে থাকলে যে বাগান ১ লাখ টাকায় কেনা আছে, সেই বাগান অর্ধেকে বিক্রি করতে হবে, তারপরও আম সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর বাগানে আম কম থাকায় উৎপাদন ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৬ থেকে ৭ মেট্রিক টন।

এদিকে, আম সংগ্রহের বিষয়ে ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার সভাপতিত্বে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ মে থেকে গুটি আম, ২০ মে থেকে গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ, ২৫ মে থেকে লকনা, ২৮ মে থেকে হিমসাগর, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৩ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশিনা, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪ আম সংগ্রহ করা যাবে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, পরিপক্ক ছাড়া আম সংগ্রহ করা যাবে না। আম পাকানোর জন্য কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা যাবে না। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আম নামানোর জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ নজরদারি ও কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

স/অ

আরো পড়ুন …

বাঘায় টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড়, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব