অ্যামাজন কর্মীদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিজেদের কর্মীদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু করেছে অ্যামাজন।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে বলা হয়, কিছু বিক্রেতা অ্যামাজনের অভ্যন্তরীণ সেলস ডেটা দেখতে, ব্যানড অ্যাকাউন্ট রিস্টোর করতে ও নেগেটিভ রিভিউ ডিলিট করতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদেরকে ঘুষ দিয়েছিলো।

এসব কাজের জন্য ঘুষের পরিমাণ ছিলো ৮০ ডলার থেকে ২ হাজার ডলারের মধ্যে। অনৈতিক এসব লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে চীনে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের বিরুদ্ধেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এই লেনদেনের মধ্যস্থতাকারীরা অ্যামাজনের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে। সেখানে টাকার বিনিময়ে তারা নেগেটিভ রিভিউ ডিলিট করার প্রস্তাব দিতেন। পণ্য সম্পর্কে একটি নেতিবাচক মন্তব্য সরাতে ৩০০ ডলার দেওয়া হতো অ্যামাজন কর্মীদের।

যে ক্রেতারা নেগেটিভ রিভিউ পোস্ট করেছেন তাদের ইমেইল ঠিকানাও চাওয়া হতো। প্রতিদ্বন্দ্বী বিক্রেতাদের ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতো সেলস ডেটা।

এ সব ব্যাপারে অ্যামাজনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সিস্টেমে আরও সীমাবদ্ধতা আনা হচ্ছে। কর্মীরা কোন কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

যারা এসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন।

অ্যামাজনে বেশিরভাগ পণ্যই আসে থার্ড পার্টি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। এ কারণে তারা হরেক রকমের পণ্য বিক্রির সুযোগ পায়। কিন্তু এতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেড়ে যাওয়ায় নিজেদের পণ্যের প্রচার বাড়াতে কিছু বিক্রেতা ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পরছেন।

বিবিসি ও দ্য ভার্জ অবলম্বনে