সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ভারতের এক নামী হাসপাতালে এক রোগিণীকে ডাক্তার এবং ওয়ার্ড বয় ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুজরাটের গান্ধীনগরের অ্যাপোলো হাসপাতালে এই ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ডাক্তার এবং ওয়ার্ড বয়কে গ্রেফতার করেছে।
গান্ধীনগরের পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে অ্যাপোলো হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিল ২১ বছরের এক তরুণী। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তরুণী।
আদালজ থানার ইন্সপেক্টর কে কে পান্ডিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “অন্তত দুবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তরুণী। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পরেই একজন ডাক্তার আর একজন ওয়ার্ড বয়কে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল।”
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে আইসিইউতে রাতের বেলায় ডিউটিরত ওই চিকিৎসক সম্ভবত কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই তরুণীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। ওই ওয়ার্ড বয়ও ধর্ষণ করে বলে তদন্তে জানা গেছে।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবারের মধ্যে ওই ঘটনা হয় বলে অভিযোগ।
ওই ওষুধের ডোজ এতটাই কড়া ছিল যে ওই তরুণী দুদিন পরে আত্মীয়দের ঘটনার কথা জানাতে পারেন। তারপরে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়।
তরুণীর গোপনাঙ্গে ক্ষত পাওয়া গেছে ডাক্তারী পরীক্ষায়। ফরেনসিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে। অন্যদিকে এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই তরুণী ধৃতদের সনাক্ত করতে পেরেছেন।
অ্যাপোলো হাসপাতালের শাখা সারা ভারতেই ছড়িয়ে রয়েছে। হাসপাতালের এক মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছে, সেখানে সিসিটিভি লাগানো আছে। আমরা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করছি।”
ইংরেজি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন ধৃত চিকিৎসক আদতে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা এবং ভারতে তিনি দীর্ঘসময়ের ভিসা নিয়ে বসবাস করছিলেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা