সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ওষুধ তৈরিতে অতি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও মানবদেহের ক্ষতিকর অণুজীবগুলো অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এই বিপদ এড়াতে অ্যান্টিবায়োটিকের অপূর্ণ ও অপব্যবহার রোধে সমন্বিত নীতিমালা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ওষুধের দোকানগুলোর নিয়মিত চিত্র। যথাযথ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সামান্য জ্বর-সর্দিতেই বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। প্রতি প্রেসক্রিপশনে অন্তত একটি করে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক লিখেন বলে জানালেন এই কোয়ার্ক ডাক্তার। যাদের কারণে ক্ষতিটা বেশি হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাকৃতিক উৎস যেমন মাটি ও উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিকের কাঁচামাল ব্যবহারের পরিবর্তে সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক উপাদান সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত হয়েছে আধুনিক চিকিৎসায়। কিন্তু এসব ওষুধের অপব্যবহার ও অপূর্ণ ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিক দেহে অকার্যকর হয়ে পড়ছে, যা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা।
কোন রোগী চিকিৎসকের কাছ থেকে অনেক সময় কম মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে শুরুতেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহনের পরামর্শ পান। যা ভবিষ্যতের জটিল রোগের সংক্রমণ নিরাময়ে সমস্যা সৃষ্টি করে।
শুধু যে ওষুধ সেবন করলেই মানব দেহে এ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করে তাÑনয়, মাছ, মুরগী ও গবাদীপশু সুস্থ রাখতে কিংবা দ্রুত মোটা তাজাকরণে খামারীরা অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে। এ ধরণের ব্যবহার ভয়াবহ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের প্রভাবশালী স্বাস্থ্য বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট বলছে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ছত্রিশ শতাংশ, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় এই বৃদ্ধির হার ছিয়াত্তর শতাংশ।