অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি পেল বেসরকারি ৭৮ প্রতিষ্ঠান

করোনাভাইরাস নির্ণয়ের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে দেশের ৭৮টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিককে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা এই অনুমোদন প্রদান করেন।

করোনা পরীক্ষায় বেসরকারি পর্যায়ে আরটিপিসিআর করতে সময় লাগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা এবং ব্যয় হয় আড়াই হাজার টাকা।

অন্যদিকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সময় লাগবে মাত্র পাঁচ থেকে ১০ মিনিট, ব্যয় করতে হবে ৭০০ টাকা। তবে বাড়িতে গিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। অধিদপ্তরের শর্ত তারা পূরণ করেছে। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে রোগ নির্ণয়ে শুধু আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হতো।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বিনা মূল্যে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করে সরকার। এরপর গত ১১ মার্চ স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

গত ১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে-ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন (মিরপুর, দারুস সালাম), গ্রীন লাইফ হাসপাতাল, থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ, থাইরয়েড কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, ডেল্টা হাসপাতাল, সান ডায়াগনস্টিক, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ফারাবী জেনারেল হাসপাতাল, সিআরএল ডায়াগনস্টিক, নোভান ক্লিনিক, ওয়েসিস হাসপাতাল সিলেট, হাইটেক মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি চট্টগ্রাম, আল-মানার হাসপাতাল, ভিক্টোরিয়া হেলথ কেয়ার, ডিএমএফআর মলিক্যুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, প্রাভা হেলথ অ্যান্ড বাংলাদেশ, বায়োমেড ডায়াগনস্টিক, জাহান আরা ক্লিনিক লিমিটেড, আল-জামি ডায়াগনস্টিক, আজগর আলী হাসপাতাল, প্রাইম ডায়াগনস্টিক, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল-মিরপুর, ডা. ফরিদা হক মেমোরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল-চন্দ্রা, শহীদ খালেক ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল-ওয়ারী, মহিলা ও শিশু হাসপাতাল, ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক-যশোর, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ল্যাব, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও কনসালটেশন সেন্টার-সাভার, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও কনসালটেশন সেন্টার (মালিবাগ, মিরপুর-২, ধানমন্ডি, সিলেট, গেন্ডারিয়া, লালবাগ, পাঁচলাইশ, বগুড়া, কেরানীগঞ্জ, কুমিল্লা, উত্তর বাড্ডা), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক, ইউনিভার্সল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল (নয়াপল্টন, মিরপুর), ডায়নামিক ল্যাব, এভারকেয়ার হাসপাতাল, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল-সিরাজগঞ্জ, হেলথ ল্যাবস লিমিটেড, ট্রাম সেন্টার, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ-বগুড়া, মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিস (ধানমন্ডি, মিরপুর, ইংলিশ রোড, মালিবাগ), কেসি হসপিটাল, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল, এএমজেড হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল-গাজীপুর, সাজেদা হাসপাতাল-কেরানীগঞ্জ, ম্যাক্সলাইফ মেডিকেল সার্ভিস, প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, ব্রাক্ষণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ, সিএসসিআর-চট্টগ্রাম, সততা ডায়াগনস্টিক নাটোর-১/২, এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট-খুলনা, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আইসিডিডিআরবি-মহাখালী।

 

সুত্রঃ যুগান্তর