‘অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলপ্রধানরা’

রাজধানীর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরামের। এমনকি শিশুদের অসুবিধার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতেও পারেন না তারা। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না স্কুলের প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্ট।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ফোরামের সদস্যরা। যেসব স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে, তাদের অন্তত ৫০ শতাংশ, আর যেসব স্কুল ভাড়া ক্যাম্পাসে তাদের অন্তত ৩০ শতাংশ টিউশন ফি হ্রাস করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। একইসঙ্গে করোনাকালে বকেয়া টিউশন ফির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকেই শিক্ষাগ্রহণের অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত করা না হয়, সেই দাবি জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে ফোরামের যুগ্ন আহবায়ক মঞ্জুর সাকলায়েন বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে। আমরা স্কুল খুলে দেওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমাদের আশঙ্কা, এটা এক ধরনের ম্যাসাকার হবে, যদি তাদের টিকার আওতায় না নিয়ে আসা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেওয়ার পর একদিনে আড়াই লাখ শিশু আক্রান্ত হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সদস্য রিয়াজ আনোয়ার বলেন, ‌‘স্কুলে গেলেও প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তারা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না। তারা কী চান, আমরা জানি না। আমাদের শিশুরা এখান থেকে কী শেখবে? আমরা তো সেই শিক্ষা দিচ্ছি না শুধু বস্তা ভর্তি বই নিয়ে বসে থাকা ছাড়া।’

বাংলাদেশ ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টা ফোরামের দেড় বছর আগে গঠিত কমিটি ভেঙে দিয়ে শুক্রবার নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন