অব্যবহৃত মস্তিষ্ক অন্যের ময়লা খুঁজতেই তৎপর

এক ভদ্রলোক নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার চেয়ে কম বয়সী তবে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারীকে বিয়ে করেছেন। সামাজিকতা, ধর্মীয় অবস্থান এমনকি তাদের পরিবার থেকেও কোনো সমস্যা না থাকলেও একটি জায়গায় খুব বড় একটি সমস্যা হয়ে গেছে! তাঁরা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বে, আমাদের অতি বিচক্ষণ ও নিজেকে তথাকথিত বুদ্ধিমান ভাবা সম্প্রদায়ভুক্ত এবং একইসাথে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত তবে মননে অশিক্ষিত একটি শ্রেণির অনুমতি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন!

তারা ভুলে গিয়েছিলেন, ব্যক্তি জীবনে তারা সুখী বা অসুখী আছেন সেটি শুধুমাত্র এই তথাকথিত শ্রেণির লোকজনই নির্ধারণ করেন বা করবেন!
তারা ভুলে গিয়েছিলেন তাদের আনন্দ উদযাপনের স্থিরচিত্রের প্রকাশ, এই অতি জ্ঞানীদের হৃদয়ে যন্ত্রণা সৃষ্টি করে, যার ফলে এদের মুখ থেকে এক ধরণের বিষ্ঠাযুক্ত অশ্রাব্য বক্তব্যের ফুলঝুরি নিসৃত হয়।

তারা এ-ও ভুলে গিয়েছিলেন, এ সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণির অব্যবহৃত মস্তিষ্ক নিজের ময়লা না খুঁজে অন্যের ময়লা খুঁজতেই তৎপর থাকে!
বর্তমান প্রজন্মের, ‘কাজ নেই তো খই ভাজ’ শ্রেণির একটি অংশ নিজেরা চারপাশে ব্যর্থতার উদাহরণ সৃষ্টি করে, অন্যের সুখে কাতরতা প্রকাশ করতে গিয়ে অশ্লীল শব্দের জোয়ারে নিজ ও নিজের পরিবারের অবস্থানকে চিনিয়ে দেয় বারবার! এই কতিপয় নোংরা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের অংশগ্রহণ যে সমাজে রয়েছে, সেখানে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ উদযাপন যে করতে নেই, সেটি এই বোকা দম্পতি ভুলেই গিয়েছিলেন!

 

বিষ্ঠাযুক্ত মন ও মানসিকতার কিছু মানুষকে সামাজিক মাধ্যম থেকে বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে এই দম্পতির মানহানি ও একইসাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করাটাই, এই শ্রেণিভুক্ত মানুষের জন্য একটি সামাজিক ও আইনী চপেটাঘাত হবে বলে আমি মনে করি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক : এডিসি, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন